করুর জনসভায় পদপিষ্টের ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যুর পর গ্রেফতার হলেন তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে)-এর জেলা সম্পাদক মথিয়াঝগন। শনিবার রাতে অভিনেতা বিজয়ের সমাবেশে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬০ জন। সোমবার তামিলনাড়ু পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার পর দায়ের হওয়া এফআইআরে মথিয়াঝগনকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিজয়ের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল টিভিকে-র উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল এই সভা। যদিও এফআইআরে বিজয়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তাতে আরও তিনজন দলীয় পদাধিকারীর নাম রয়েছে—করুর জেলা সম্পাদক মথিয়াঝগন, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বসি এন আনন্দ এবং রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক সিটিআর নির্মল কুমার। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিজয় অনুমোদনহীন রোডশো করেন এবং ভেলুসামিপুরমে এসে বিশাল জনতার মাঝে গাড়ি থামান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ (অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড), ১১০ (অপরাধমূলক হত্যার চেষ্টা), ১২৫ (জীবন বিপন্ন করা), ২২৩ (সরকারি আদেশ অমান্য করা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, ১৯৯২ সালের তামিলনাড়ু পাবলিক প্রপার্টি (প্রিভেনশন অফ ড্যামেজ অ্যান্ড লস) অ্যাক্ট-এর ৩ নম্বর ধারাও প্রযোজ্য হয়েছে।
এফআইআরে বলা হয়েছে, পুলিশ বারবার সতর্ক করলেও টিভিকে নেতৃত্ব জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। কর্মীদের দোকানের টিনের ছাদে ও গাছের ডালে ওঠা থেকে বিরত করতে পারেননি। ফলে কয়েকজন নিচে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হন। এফআইআর অনুযায়ী, বিজয় ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরিতে পৌঁছনোর কারণে অতিরিক্ত ভিড় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যা দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রবিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয় ৪১ জনের, যাঁদের মধ্যে এক ৬০ বছর বয়সী মহিলা স্থানীয় হাসপাতালে মারা যান।
এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিজয় করুর জেলার সীমান্তে প্রবেশ করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় থামায় দেরি হয়। অবশেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি ভেলুসামিপুরমে পৌঁছন, এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা।
পুলিশ ইন্সপেক্টর জি মথিয়ালাগন জানিয়েছেন, তিনি ও ডিএসপি আগেই টিভিকে নেতৃত্বকে সতর্ক করেছিলেন যে অতিরিক্ত ভিড় মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে, কিন্তু সে কথা শোনেননি বিজয়ের দলের নেতারা।