ষষ্ঠীর দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও শেষ পর্যন্ত কলকাতার আকাশ ছিল রোদঝলমলে। দিনের বেলায় হালকা মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টি নামেনি শহরে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় দু’-এক পশলা হালকা বৃষ্টি হলেও তাতে পুজোর আনন্দে ভাঁটা পড়েনি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সপ্তমীতেও তেমন কোনও অঘটনের সম্ভাবনা নেই। স্থানীয় মেঘ থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ফলে ঠাকুর দেখতে বেরোতে অসুবিধা হবে না পুজোপ্রেমীদের। তবে সুরক্ষার জন্য সঙ্গে ছাতা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
ইতিমধ্যেই প্যান্ডেলে জনজোয়ার চোখে পড়ার মতো। তৃতীয়া থেকেই কলকাতার বিভিন্ন বিখ্যাত পুজো মণ্ডপে ভিড় বাড়তে শুরু করে। ষষ্ঠীর রাতে সেই ভিড় সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছয়। উত্তর থেকে দক্ষিণ— শ্রীভূমি, সুরুচি সংঘ, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, চেতলা অগ্রণী, দেশপ্রিয় পার্ক— সর্বত্রই উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুজোকর্তা ও প্রশাসনকে। আজ সপ্তমীতে সেই ভিড় আরও কয়েক গুণ বাড়বে বলেই মনে করছেন পুজোকর্তারা।
ভিড় সামলাতে বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে শহরের সর্বত্র। বিভিন্ন মণ্ডপের সামনে যানজট নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ট্রাফিক প্ল্যান চালু করেছে লালবাজার। জনপ্রিয় পুজোগুলিতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের মোতায়েন। কোথাও লাগানো হয়েছে ড্রোন ক্যামেরা, কোথাও আবার ভিড় সামলাতে কুইক রেসপন্স টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।