ডাক বিভাগ ঘোষণা করেছে, আগামী ২৫ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ ডাক পার্সেল পাঠানো বন্ধ থাকবে। কারণ, চলতি মাসের শেষের দিকেই আমেরিকার নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হতে চলেছে।
মার্কিন সরকার ৩০ জুলাই জানায়, ৮০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত মূল্যের পণ্যে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ছিল, তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। ২৯ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সব ধরনের ডাক পার্সেলেই শুল্ক দিতে হবে। কেবলমাত্র ১০০ ডলার পর্যন্ত মূল্যের উপহারসামগ্রী শুল্কমুক্ত থাকবে।
আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী, কেবল আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সংস্থা বা মার্কিন কাস্টমস অনুমোদিত সংস্থাই শুল্ক আদায় করতে পারবে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া এখনও স্পষ্ট না হওয়ায় এয়ারলাইন সংস্থাগুলি জানিয়েছে, তারা ২৫ আগস্টের পর মার্কিনমুখী ডাক পার্সেল বহন করবে না।
ফলে ভারতীয় ডাক বিভাগও জানিয়েছে, ২৫ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুধু চিঠি, নথি ও ১০০ ডলারের মধ্যে উপহারসামগ্রী পাঠানো যাবে। অন্য সব ধরনের পার্সেল বুকিং বন্ধ থাকবে।
যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যেই পার্সেল বুক করেছেন, সেগুলি পাঠানো সম্ভব না হলে তারা পোস্টেজ ফেরত পাবেন। ডাক বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, “গ্রাহকদের যে অসুবিধা হচ্ছে তার জন্য আমরা দুঃখিত। দ্রুত সেবা স্বাভাবিক করতে সবরকম চেষ্টা চলছে।”
ভারতই একমাত্র নয়, স্ক্যান্ডিনেভিয়া, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের ডাক বিভাগও ইতিমধ্যেই মার্কিনমুখী পার্সেল সেবা বন্ধ করেছে। জার্মানির ডয়চে পোস্ট ডিএইচএল জানিয়েছে, তাদের সাধারণ মার্কিন পার্সেল সেবা ২৫ আগস্ট থেকে বন্ধ হবে। তবে ডিএইচএল এক্সপ্রেস প্রিমিয়াম সার্ভিস চালু থাকবে।
এই সিদ্ধান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্সিতে নেওয়া বাণিজ্যিক পদক্ষেপের অংশ। এর আগে ভারত-সহ একাধিক দেশের উপর পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি আগস্টেই ভারতীয় রপ্তানির উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে, ফলে মোট শুল্কহার দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে।