অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: তুমুল অরাজকতা বাংলাদেশে। সেনাপ্রধানের আশ্বাসের পরেও খুন প্রায় ২০০। চলছে হামলা-আগুন-লুঠতরাজ। জেল ভেঙে মুক্ত করা হল জঙ্গিদের। এমনটাই বলছে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এবিপি আনন্দ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আফগানিস্তানের তালিবানি সন্ত্রাসের হাড়হিম করা ছবি। খুন করে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক দেহ। শিউরে ওঠা ছবি ভাইরাল।
মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, একের পর এক আওয়ামি লিগের নেতা, মন্ত্রী, সদস্যের বাড়িতে চলছে হামলা। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগ্নিসংযোগ, হত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সাতক্ষীরায় আওয়ামি লিগ নেতার ৫ আত্মীয়-সহ নিহত ১৪।

বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, সাতক্ষীরায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির দুজন আছেন। বাকিদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। এ সময় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।এ দিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সরকারি ভবন এবং পুলিশের উপরে হামলা হচ্ছে। অশান্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরও হামলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশনগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উপাসনালয় ও লোকজনের ওপর হামলার খবরে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। তাঁরা চলমান ছাত্র আন্দোলনে যুক্তদের পাশাপাশি অন্যরা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত পরিণত রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক পালবদলে। যার পরিণামে সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেনার ঘেরাটোপে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুরে বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ ছাড়েন তিনি। আর তার পর থেকেই আওয়ামি লিগের নেতা আর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা। বাদ যাচ্ছেন না পুলিশ এবং সরকারি কর্মীরাও। সংখ্যালঘুদের বাড়ি, উপাসনালয় আক্রান্ত। কোথাও লাশ ঝুলছে, কোথাও পুড়ছে!
*সমস্ত তথ্য সংগৃহীত




Be First to Comment