তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৩ জন, আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৬২ জনকে। মঙ্গলবার সকালে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তিংরি প্রদেশ, যা এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত।
প্রথম ভূমিকম্পের পর অঞ্চলটিতে ৪০টিরও বেশি পরাঘাত (আফটারশক) হয়। এর মধ্যে ১৬টি কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩-এর বেশি। এই পরাঘাতের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ।
ভূমিকম্পের প্রভাবে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষত বিহার, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিম কেঁপে ওঠে। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আতঙ্কে বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। নেপালের সোলুখুম্বু জেলাতেও কম্পন অনুভূত হলেও এখনও পর্যন্ত সেখান থেকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।

চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম শিংহুয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পের ফলে তিব্বতের শিগাতসে শহর এবং আশেপাশের অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক ভবন ভেঙে পড়েছে এবং রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে। প্রশাসন এখনও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে প্রশাসনের আশঙ্কা, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি পরিস্থিতির উপর নজর রেখে উদ্ধার কার্য চালাচ্ছে।




Be First to Comment