অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস, কলকাতা: প্রতি বছর ৮ মার্চ পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিনটি লিঙ্গ সমতা, প্রজননের অধিকার, নারীদের উপর হিংসা ও নির্যাতন, নারীর সমান অধিকার ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতিবছর একটি থিম নির্ধারণ করে পালিত হয় নারী দিবস। এ বারের থিম কী?
১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়েছিল। আমেরিকার তৎকালীন সক্রিয় সোশ্যালিস্ট পার্টি ১৫,০০০ মহিলার স্মরণে দিনটি উদযাপন করেছিল। যারা কঠোর কাজের বিনিময়ে কম মজুরির বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ করেছিল।
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ দিনটিকে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রদের নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘ দিবস হিসাবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানায়।
সারা বিশ্বে নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অর্জনকে সম্মান জানাতে এই দিনটি ব্যাপকভাবে পালিত হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি বিশ্বব্যাপী ছুটির দিন হিসাবেও পালন করা হয়। আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কম্বোডিয়া, কিউবা, জর্জিয়া, লাওস, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনিগ্রো, রাশিয়া, উগান্ডা, ইউক্রেন এবং ভিয়েতনামে একটি সরকারি জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে স্বীকৃত। আলবেনিয়া, মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া এবং উজবেকিস্তানের মতো কিছু দেশে, নারী দিবসকে মা দিবসের সাথে তুলনা করা হয়। চীনে, মহিলা কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে অর্ধ-দিবসের ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে।
২০২৪ সালের জন্যও বিশেষ থিম বেছে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। নারীদের উপর ভরসা রাখলে আখেরে সমাজের উন্নতি হবে- এই ভাবনা নিয়েই পালিত হবে এবারের নারী দিবস। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের প্রতি বেতন বৈষম্য কমানোর জন্যই এই থিম বেছে নেওয়া হয়েছে। আজ মহিলাদের উপর ভরসা করে তাঁদের উপর লগ্নি করলে আগামী দিনে উন্নয়নের জোয়ার আসবে- এই থিমের ভিত্তিতেই এ বার বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে নারী দিবস।
Be First to Comment