অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: নতুন সংঘর্ষে বাংলাদেশে ৩২ জন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।
রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের অনেক শহরে হিংসাত্মক ঘটনার একটি নতুন তরঙ্গ প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে রবিবার পুলিশ ও শাসক দলের কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের সংঘর্ষে ৩২ জনেরও বেশি মৃত এবং শতাধিক আহত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। গত মাসে শুরু হওয়া বর্তমান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এ ধরনের পদক্ষেপ এই প্রথম নেওয়া হল। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিকদের “সতর্ক থাকতে” বলেছে। সিলেটে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

এ দিন ঢাকার কেন্দ্রীয় শাহবাগ স্কোয়ারে ঢোকে বিক্ষোভকারীরা। রাজধানী শহর ছাড়াও, বিক্ষোভকারীরা প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। ঢাকার শাহবাগ এলাকার প্রধান সরকারি হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আজ যে দিন অফিস ও প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল, সেখানে হামলা চলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঢাকার উত্তরা এলাকায় বোমার বিস্ফোরণ এবং গুলির শব্দ শোনা গেছে। বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন একাধিকবার সহিংস রূপ নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়েছে!




Be First to Comment