প্রবোধ দাস, পুরুলিয়া: মদে সর্বস্বান্ত সংসার। প্রতিনিয়ত অশান্তি, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার ব্যাপক ক্ষতি। নেতা থেকে পুলিশ সকলকে বলে কাজ হয়নি। এ বার সরাসরি পথে নামতে হল ঘরের মা-বোনদের।
মাংস দোকানের আড়ালে অবৈধ ভাবে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছিল দেশি ও বিদেশি মদ। আর সেই মদ খেয়েই সর্বস্বান্ত হচ্ছে এলাকার যুব সমাজ। গোটা ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ওই অবৈধ মদ ভাটি উচ্ছেদের দাবিতে বিক্ষোভে দেখালেন স্থানীয় মহিলারা ।
ঘটনার পরেই মাংস দোকানের ওই মালিক দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় । গোটা অবস্থা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুরুলিয়া মফস্সল থানার পুলিশ। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, পুরুলিয়া মফস্সল থানার অন্তর্গত মনিপুর এলাকায় একটি মাংস দোকান রয়েছে। ওই মাংস দোকানের আড়ালে অবৈধ ভাবে দেশি বিদেশি মদ বিক্রি করা হচ্ছিল। স্থানীয় যুবকরা-সহ খেটে খাওয়া শ্রমিকরা ওই মদ খেয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। রোজগার করা টাকা বাড়িতে না দিয়ে ওই মদের ঠেকে মদ কিনে খাচ্ছে । স্বাভাবিক ভাবেই প্রায় প্রতিদিন এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছিল। সদর রাস্তার পাশে লোকালয়ে ওই অবৈধ মদের ঠেকের কারণে এলাকার নারী নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলাও হচ্ছিল বিঘ্নিত।
অবশেষে, লোকালয়ে অবৈধ মদের কারবার বন্ধ করতে স্থানীয় মহিলারা ওই অবৈধ মদ ভাটি উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে দোকানের বাইরে বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করেন। পরে পুরুষেরাও যোগ দেন বিক্ষোভে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মনিপুর এলাকায়।
অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মফস্বল থানার পুলিশ। পুলিশ ওই মাংসের দোকান থেকে দেশি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করে অবৈধ মদ কারবারীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন মহিলারা। প্রথমী মাহাতো ও আশা লতা মাহাতো বলেন, “আমরা সর্বসান্ত, প্রতিদিন বাড়িতে ঝামেলা, কোনো রকম ভাবে সংসার ঠিক রাখা যাচ্ছিল না সকলকে বলেছি কেউ কোনো কাজ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা পথে নেমেছি। আমরা কোনো ভাবেই এই অবৈধ ব্যবসা এখানে হতে দেব না। যদি আমাদের কথা না শোনা হয় তাহলে আমরা আবার ঘুরে পথে নামব। আইনকে হাতে নিতে বাধ্য হব।”




Be First to Comment