রানিগঞ্জ : কথায় বলে পুলিশ ইচ্ছা করলে সব পারে, মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা অপরাধীকেও বের করে আনতে পারে পুলিশ ।তাই হল, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এক দুষ্কৃতী। রবিবার সন্ধ্যেবেলাতেই গিরিডি থেকে জখম একজনকে পুলিশ ধরে ।যাকে আজ সোমবার আসানসোেল জেলা আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ৭-৮ জনের এক সশস্ত্র ডাকাতের দল রানীগঞ্জের একটি প্রসিদ্ধ সোনার দোকানে ডাকাতি করতে ঢোকে। সেই সময় ওই এলাকাতেই কাজে গিয়েছিলেন জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি মেঘনাথ মণ্ডল। তিনি খবর পেরে ওই দোকানের সামনে চলে যান। একা রুখে দাঁড়ান ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেইসময় দুই পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। ওই পুলিশ অফিসার রুখে দাঁড়ান দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুলির লড়াই-এ পুলিশের গুলিতে জখম হয় একজন দুষ্কৃতি । তারপরও পালাতে সক্ষম হয় ডাকাতের দলটি। এরপর আসানসোলে চক্রবর্তী মোড়ের কাছে এদের মধ্যে চারজন দুষ্কৃতি একটি চার চাকা গাড়িকে দাঁড় করায় এবং তাদের কোনও হাসপাতালে পৌঁছে দিতে বলে। দুর্গাপুরের বাসিন্দা ওই গাড়ির মালিক নয়ন দত্ত তার পরিবার নিয়ে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি ওই দুষ্কৃতীদের গাড়িতে তুলতে অস্বীকার করলে দুষ্কৃতিরা নয়নবাবুকে গুলি করে গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়।
এদিকে পুলিশ পশ্চিম বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তগুলিতে নাকা তল্লাশি আরও জোরদার করে দেয় । পাশাপাশি দুষ্কৃতিদের গতিবিধির খোঁজ করতে শুরু করে পুলিশ । বিভিন্ন জায়গায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে শুরু করে। খবর দেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী রাজ্যের পুলিশকেও।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস জানান, “সুত্র মারফত খবর পেয়ে গিরিডি পুলিসকে সাথে নিয়ে ঝড়খন্ডের সরিয়া জঙ্গল থেকে সুরজ সিংকে গ্রেফতার করে। সঙ্গে উদ্ধার হয় নয়ন দত্তের গাড়িটি, কিছু কার্তুজ ও ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া কিছু সোনার গয়না। ওই ধৃতকে সোমবার আসানসোেল জেলা হাসপাতালে তোলা হয় ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত সুরজ সিং বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। তবে একজন ধরা পড়লেও বাকিরা এখনো অধরা। যদিও কোন পথ ধরে তারা পালিয়ে যেতে পারে তার খোঁজ খবর করছে পুলিস।



Be First to Comment