উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : সুন্দরবনের মৈপীঠ-কুলতলি-জয়নগর রেলপথের দাবির কথা শুনতে হচ্ছে প্রার্থীদের। আর ভোট প্রচারে বেরিয়ে ভোটারদের দাবির গুরুত্ব মেনে উত্তরও দিতে হচ্ছে সব দলের প্রার্থীদের। এমনই ছবি উঠে এল সুন্দরবনের কুলতলি-মৈপীঠ-সহ একাধিক এলাকা থেকে।
সুন্দরবনের কুলতলি-মৈপীঠ থেকে জয়নগর আসতে নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।জামতলা থেকে ২৮ কিমি দূরে জয়নগরে এসে ট্রেন ধরতে হয় যাত্রীদের।আর তাই লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এলাকায় এলে নতুন রেলপথের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা দুবারের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, “সংসদে এই রেলপথের দাবি অনেকবার জানিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনো গুরুত্ব দেয়নি। সেই কথা প্রচারে মানুষকে জানাচ্ছি। ফের সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলে এই দাবিতে আরও সোচ্চার হব।”

এই জয়নগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডা. অশোক কাণ্ডারী বলেন, “সুন্দরবনের মানুষ সঠিক দাবিই জানিয়েছেন। প্রচারে গিয়ে এই দাবির কথা আমাকেও শুনতে হচ্ছে। তৃণমূলের সাংসদ মানুষের দাবিকে দশ বছর ধরে কোনো গুরুত্বই দেননি।”
উল্টোদিকে, জয়নগরের এসইউসিআই প্রার্থী নিরঞ্জন নস্কর বলেন, গরিব মানুষের দাবি এই সব সাংসদরা লোকসভায় তোলেন না। মানুষের দুর্ভোগ যন্ত্রণার কথা লোকসভায় তুলে ধরতে হবে।
কুলতলির প্রাণকেন্দ্র জামতলা। এই জামতলা মোড় থেকেই জয়নগরের অটো, বাস, ট্রেকার ও ম্যাজিক গাড়ি ছাড়ে। কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ থেকে জামতলার দূরত্ব ৩৩ কিমি। মৈপীঠের গঙ্গার ঘাট থেকে মাত্র একটি সরকারি বাস কয়েক মাস আগে চালু হয়েছিল যা বর্তমানে আবার বন্ধ হয়ে গেছে। বাসটি কলকাতায় যেত। তবে সিংহভাগ মানুষই জয়নগর-মজিলপুর স্টেশন থেকে ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে চেপে প্রতিদিন কলকাতায় যান।
এই ব্যবস্থার বদল চাইছেন কুলতলি-মৈপীঠের মানুষজন। যে প্রার্থীই গ্রামে প্রচারে আসছেন, তাঁদের কাছেই এই দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। ভোট এসেছে। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি আসছেন। আর তাঁদের রেলপথের দাবি জানালে আশ্বাস দিয়েই চলে যাচ্ছেন।ভোট আসে ভোট যায়, সুন্দরবনের মানুষের সমস্যার সমাধান কি আদৌ হয় বা হবে সে প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সুন্দরবনের ভোটারদের মনে।




Be First to Comment