Press "Enter" to skip to content

মাদ্রাসা বোর্ড দশমের পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় সুন্দরবনের কুলতলির রাইহান পিয়াদা, খুশির হাওয়া কুলতলিতে

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : মাধ্যমিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ৬ জন ছাত্র প্রথম দশে জায়গা করে নেয়। আর শুক্রবার রাজ্যের মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা ফলাফলে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিল সুন্দরবনের কুলতলির রাইহান পিয়াদা। খুশির হাওয়া কুলতলিতে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা কুন্দখালি গোদাবর অঞ্চলের অম্বিকানগরের রাইহান পিয়াদা এবছর মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। আর এই খবর প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গে তাকে কুলতলি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের দফতর থেকে তাকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হল।

রাইহানকে নিজে হাতে বিডিও অফিসে সম্মানিত করেন কুলতলি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সুচন্দন বৈদ্য, কুলতলি ব্লক মাইনরিটি দফতরের আধিকারিক মইদুল ইসলাম লস্কর। কুলতলির প্রত্যন্ত এলাকা অম্বিকা নগরের রাইহান পিয়াদা রাজ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় খুশির হাওয়া কুলতলি-সহ সমগ্র সুন্দরবনে। রাইহান পিয়াদার বাবার নাম মুফতি নুর হোসেন পিয়াদা, মা রেহানা পিয়াদা। তিন সন্তানের জেষ্ঠ সন্তান রাইহান। বাবা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের খেড়িয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি রাইহানকে হাওড়া জেলার পাঁচলা ব্লকের বিকি হাকোলা অঙ্কুর কেজি স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করেন। সেখানে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত তাঁর পড়াশোনা হয় তার। পরে হাওড়া জেলার জয়নগর পল্লীশ্রী বিদ্যানিকেতন থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা। নবম ও দশম শ্রেণীতে তার পড়াশোনা চলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী ব্লকের খেড়িয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায়।

এবছরে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে সে। আর রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নেয় সে। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৮৪৩ প্রথম পত্র বাংলায় ৮৭ দ্বিতীয় পত্র ইংরেজি ৮১ অঙ্কে ৯৭ ভৌতবিজ্ঞানে পঞ্চাশ এর মধ্যে ৪৮, জীবনবিজ্ঞানে ৫০এর মধ্যে ৫০, ইতিহাসে ৯৮ ভূগোলে ৫০ এ ৪৬ আরবীতে ৯৩ তাপসীরে ৯৯ হাদিসে ৯৬ আর ফেকায় ৫০এর মধ্যে ৪৮ নং পায় সে।

তার এই সাফল্যর মূল কারিগর গৃহ শিক্ষক আলোম মন্ডল ও বাসুদেব সরদারের নৈপূণ্য শিক্ষা দানে। আগামীদিনে বাবার মতো শিক্ষক হতে চায় রাইহান।আর তাঁর জন্যে উচ্চ শিক্ষায় মনোযোগ দিতে চায়।তাঁর এই ফলাফলে খুশি তাঁর বাবা,মা, শিক্ষক সহ সমগ্র কুলতলির মানুষ। তাঁর এই অভাবনীয় সাফল্য এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মণ্ডলও।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *