Press "Enter" to skip to content

যুবনেতা দলীয় প্রার্থী, জলপাইগুড়িতে সংসার সামলে দিনে-রাতে দেওয়াল লিখন ডিওয়াইএফের ‘যুবতী টিমে’র

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: তাদের সংগঠনের নেতা এ বার দলীয় প্রার্থী। বাম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণের হয়ে তুলি ধরছেন ‘সহযোদ্ধা’ সদস্যারা। কাজের ফাঁকে, সংসার সামলে দিনে-রাতে দেওয়াল লিখন ডিওয়াইএফআই-য়ের ‘যুবতী টিমে’র।

পেশায় শিক্ষক দেবরাজ বর্মণ এ বার জলপাইগুড়ি আসনের বাম প্রার্থী। ২০০৫ সালের আগে থেকেই তিনি বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। যুব সংগঠনের এই ‘তরুণ তুর্কি’কেই এ বার তুরুপের তাস করেছে বামফ্রন্ট। আর ‘প্রিয়’ দেবরাজদাকে জেতাতে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জান কবুল করে কাজ করছেন যুব সংগঠনের সদস্যারাও। ঘরে-বাইরের চাপ সামলে পালা করে দেওয়াল লিখন ও প্রচার করছেন তারা।

ওঁদের কেউ কাজ করেন বেসরকারি সংস্থায়, কেউ বা নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন। কাজের ফাঁকে চলছে দেওয়াল লিখন। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে কমপক্ষে ২০টি দেওয়াল লিখনের দায়িত্ব নিয়েছেন সোহিনী রায়, পূর্ণা দত্ত,পিয়া শীল,পায়েল সরখেলরা। ইতিমধ্যেই শহরের পুরসভা এলাকার ২, ১১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই অধিকাংশ দেওয়াল লিখন শেষ করে ফেলতে পারবেন বলে আশাবাদী বাম যুব সংগঠনের সদস্যারা।

যুবতী টিমের যুগ্ম আহ্বায়িকা সোহিনী রায় এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতা। স্বামী জ্যোতিবিকাশ কর পেশায় শিক্ষক। সংসার আর বেসরকারি সংস্থার কাজের চাপ সামলে ফুরসত আর কতটুকু! শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াকারগঞ্জে বিকেলে কাজ করতে দেখা গেল তাঁদের। একসময় এই ২ নম্বর ওয়ার্ড শহরে বামেদের অন্যতম ‘লাল দূর্গ’ বলে পরিচিত ছিল। কয়েক দফায় এখান থেকেই কাউন্সিলার হয়েছিলেন বাম নেত্রী দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গত পুরসভা নির্বাচনে হিসেব উল্টে যায়। এই ওয়ার্ডে জয় পান তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।

পুরনো গড়েই এখন প্রচারে ব্যস্ত সোহিনীরা। তিনি বলেন, “সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করেছি। পাওনা ছুটি এখন নিয়ে দেবরাজদার হয়ে প্রচার চালাচ্ছি।” তাঁর আরও সংযোজন, “প্রচারে বেরিয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ওপর সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষজন বীতশ্রদ্ধ। ‘আচ্ছে দিনে’র স্বরূপ মানুষ বুঝে গিয়েছে।”

বাম নেতা বিপ্লব ঝা বলেন,”বর্তমানে দেশ ও রাজ্যে কর্ম সংস্থানের হাল বেহাল। বেকারত্বের জ্বালায় ভুগছে যুব সমাজ। এই জ্বালা থেকে মুক্তি পেতেই যুব সংগঠনের ‘যুবতী টিম’ সর্বাত্মক ঝাঁপিয়ে পড়েছে।” এদিকে পুরো বিষয়টিকেই লোকদেখানো বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, ” বামের ভোট রামে না গেলেই হল।” তাঁর আরও সংযোজন, তৃণমূলের যুব ও মহিলা সংগঠনও শক্তিশালী। তারাও প্রচারে নেমেছেন। প্রচারের ফাঁকে বাম প্রার্থী দেবরাজ বলেন, ” ব্যক্তি নয়, আমাদের কাছে সংগঠন ও দলই বড়।সকলের সাথেই আমার হৃদ্য সম্পর্ক। দলকে জেতাতেই সকলে বদ্ধপরিকর।”

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *