Press "Enter" to skip to content

জয়নগর কাণ্ড নিয়ে সারাদিন একাধিক রাজনৈতিক দলের দফায় দফায় বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি জয়নগরে

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : আরজি করের পরে এ বার জয়নগর কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। প্রতিবাদে সোচ্চার সব মহল। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল শুক্রবার বিকেলে?

রোজের মতোই তো টিউশন থেকে ফিরছিল নাবালিকা। তার পর? সেই সময়ের কথা জানাল মৃতার বান্ধবী।

মৃত নাবালিকা প্রতিদিন এক বান্ধবীর সঙ্গে ফিরত। শুক্রবারও একসঙ্গেই পড়ে বের হয় তারা। তার পর ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। ওই নাবালিকা জানিয়েছে বান্ধবীর সঙ্গে শেষবারের মতো একসঙ্গে ফেরার স্মৃতি।

সে জানায়,শুক্রবার বিকেলে একসঙ্গে অঙ্ক পড়তে গিয়েছিল তারা। বেরতে খানিকটা দেরি হয়ে যায়। একসঙ্গেই বের হয় তারা। মাঝরাস্তায় নাকি একজনের সঙ্গে দেখা হয়। এর পরই নির্যাতিতা তাকে জানায়, সে সাইকেলে বাড়ি ফিরবে। বাড়ির পথে এগিয়ে যায় সে। সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে যাওয়ার পর ও বাড়ি ফেরেনি সে। তাতেই দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেন বাড়ির লোকজন।

অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের থেকে নিখোঁজ অভিযোগ নিতে কার্যত অস্বীকার করে পুলিশ। এর পর থানা থেকে ফিরে আসেন ছাত্রীর বাবা। গভীর রাতে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি জলাজমি থেকে ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়।প্রসঙ্গত, জয়নগরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন-খুনের ঘটনা ঘিরে শনিবারই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মৃতার ময়নাতদন্ত ঘিরে জটিলতা দেখা দেয়।আর নিরপেক্ষতার স্বার্থে রাজ্যের কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তে রাজি ছিল না পরিবার। তাই কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়না তদন্তের আবেদন জানিয়ে রবিবারই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। দ্রুত শুনানির আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

রবিবার বিকেলে শুনানিতে তিনি পরিবারের আবেদন গ্রহণ করে নির্দেশ দেন, সোমবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের চিকিৎসকরা। এদিকে এদিনই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ছাত্র পরিষদের নেতারা। আশ্বাস দেন পাশে থাকার।এদিকে এদিকে এদিন এই ঘটনার উপযুক্তের দ্রুত শাস্তির দাবিতে বাম সংগঠন ডি ওয়াই এফ আই এর উদ্যোগে জয়নগর থানার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও জয়নগর থানায় ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিন এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বাম যুব নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়,নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ইস্পিতা ধর সহ আরো অনেকে।একই ইস্যুতে এস আই এর উদ্যোগে ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করা হয় জয়নগর থানায়,আবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করা হয় জয়নগর থানায়।

আইএসএফের প্রতিনিধি দল এদিন মৃতের পরিবারে সঙ্গে দেখা করেন।এদিন রাতে জয়নগর থানায় বারুইপুর পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালী বলেন, “মৃতের পরিবারের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।আমরা দ্রুত চার্জশিট দেব এই ঘটনার”।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *