জামুড়িয়া : সাইবার অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে প্রতারণার অভিযোগে শুক্রবার রাতে দুটি পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়ে দুজন প্রতারককে গ্রেফতার করল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের জামুড়িয়া থানার পুলিশ।
সাইবার থানার কাছ থেকে খবর পেয়ে জামুড়িয়া বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানেই দুই জায়গায় সফলতা পায় জামুড়িয়া থানার সাইবার সেল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতের অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়ে আসানসোল পুরনিগমের জামুড়িয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিবপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আসিফ। একইভাবে জামুড়িয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুয়া মোড় থেকে ধরা পড়ে পিন্টু মিত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত পিন্টু মিত্র বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট। সে জামুড়িয়ার এই কুয়া মোড়ে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো। ধৃত দুজনের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃত দুজনকে শনিবার আসানসোল আদালতে পাঠিয়ে হেফাজতে নেওয়া আবেদন করে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে দুজনকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ধৃত পিন্টু মিত্র লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করতো। বিভিন্ন মানুষকে ফোন করে লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে সে প্রতারণা করতো।
অন্যদিকে, মহঃ আসিফ এ্যাপের মাধ্যমে ইনভেস্টমেন্ট করা ও এটিএম সহ বিভিন্ন ধরনের কার্ড বন্ধ হয়ে যাবে বলে ফোন করে প্রতারণা করতো। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, তারা এই কারবার কতদিন ধরে চালাতো ও তাদের সঙ্গে আর কে কে আছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার রাতে একইভাবে সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আসানসোলের কুলটি থানার পুলিশ নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে। নিয়ামতপুর ফাঁড়ির রুইদাস পাড়ার বাসিন্দা ধৃতর নাম রাজু রুইদাস। ধৃতর কাছ থেকে পুলিশ নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
শনিবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাকিং নিয়ামতপুর এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছিল। তখন রাজু রুইদাস একটি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে পালাচ্ছিল। তখন তাকে ধরা হয়। তল্লাশিতে তার ব্যাগ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তবে তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাজু রুইদাসের চক্র কি ধরনের সাইবার অপরাধ করতো, তা তাকে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।




Be First to Comment