উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর: নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ চলছে। এখনও পর্যন্ত সেভাবে শীতের দেখা নেই। ওদিকে ঠিক মতো শীত না এলেও শুরু হয়ে গেছে জয়নগরের মোয়া। তবে জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় বেজায় সমস্যায় পড়েছেন জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ীরা ৷ কারণ শীত ঠিকমতো পড়লেই মোয়া তৈরির কাঁচামাল পাওয়া যায়। শীত নেই, তাই জোগান নেই তাঁর ওপর এবারে কাঁচামালের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় জয়নগর বহড়ুর মোয়া ব্যবসায়ীরা আর তাই এ বছর মোয়ার দাম বৃদ্ধি পেল জয়নগর বহড়ু এলাকায় ৷
এখনো দেখা মিলছে না ভালো মানের নলেন গুড়ের। যা ছাড়া মোয়া নির্মাণ অসম্পূর্ণ।বাঙালির কাছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার জয়নগরের মোয়া। খ্যাতি এমনই যে প্রতি বছরই বাংলা ছাড়িয়ে ভিনরাজ্য এমনকি বিদেশেও পাড়ি দেয় এই মোয়া।
জয়নগরের মা কালী সুইটস্ এর রাজেশ দাস বলেন,এবছর মোয়া তৈরির সাথে জড়িত সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে।মোয়া তৈরির উপাদান এলাচের আগে দাম ছিল ২৭০০ -৩ হাজার টাকা, আর এখন দাম হয়েছে ৪৫০০-৪৮০০ টাকা।ঘি এর দাম প্রতি কিলোতে প্রায় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।চিনির দামও বেশ খানিকটা বেড়েছে।মোয়ার প্রধান উপাদান কনকচূড় ধানের খই দ্বিগুণ হয়েছে।এছাড়া মোয়ার অলংকারনের জন্য ব্যবহৃত কাজু, কিসমিস,ক্ষীরের দাম ও প্রায় দেড়গুণের কাছাকাছি বেড়ে গেছে।তাছাড়া গ্যাস সহ একাধিক জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলায় এবছর আমরা কিছুটা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। তবে মোয়ার গুনগত মান বজায় থাকবে।
এই সময়ে বহড়ু জয়নগর এলাকার কয়েকহাজার মানুষ এই মোয়া শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দীনযাপন করে।মোয়ার শহর জয়নগরের মোয়া এখন জি আই ট্যাগ প্রাপ্ত।
বহড়ুর বীণাপানি মিষ্টান্ন ভান্ডারের গণেশ দাস বলেন,মোয়ার গুনগত মান বজায় রাখতে আমাদের কিছুটা দাম বাড়াতে হয়েছে।কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের আগে আগেই প্রচণ্ড বৃষ্টিতে কনকচূড় ধানের চাষে ক্ষতি হয়েছে আর তাঁর কারণে কনকচূড় ধানের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় খই এর দাম বেড়েছে।
Be First to Comment