অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ছাইচাপা আগুনের ধোঁয়ায় প্রাণঘাতী রোগের উপাদান। বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পরিবেশপ্রেমী মহল।ইতিমধ্যেই পুরসভা,স্বাস্থ্য দপ্তর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডে চিঠি পাঠিয়েছে সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাব। পদক্ষেপ করা না হলে অন্য ভাবনা পরিবেশপ্রেমীদের।
মাস দুয়েক আগে শহর সংলগ্ন বালা পাড়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দমকল কর্মীরা এসে আগুন আয়ত্বে আনেন। এরপরও বারকয়েক আগুন নেভাতে আসতে হয় দমকল কর্মীদের। তবে,বর্জ্যের ভেতরে জ্বলতে থাকা ছাইচাপা আগুন নেভাতে পারেনি দমকল। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত সেখান থেকেই প্রতিনিয়ত নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় প্রত্যক্ষ ভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক পরিবার।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বাবলু বসাক বলেন, “বাড়ির বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।বিকেলের পরে অনেকেরই চোখ-মুখ জ্বালা করছে বলে শুনেছি।”

বর্জ্যের পোকলিং করে কিছুটা সুফল মিললেও সমস্যার পূর্ণ সমাধান হয় নি।ধোঁয়ায় ডায়োস্কিন ও ফিউরান থাকায় ফুসফুসে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য রোগ হতে পারে বলে দাবি। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ফয়জুর রহমান বলেন, “কী কারণে আগুন লাগল জানা যায়নি।”
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, “এভাবে চলতে থাকলে এই এলাকার মানুষজনের শারীরিক সমস্যা হবে। কটু গন্ধে শ্বাসকষ্টও হচ্ছে অনেকের।” শহরের প্রাতর্ভ্রমণকারীদের একাংশের কথায়, পাহাড়পুর এলাকায় ভোরের আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে থাকছে।পুর প্রধান পাপিয়া পাল বলেন, “দমকলের সহযোগিতায় আপাতত কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভোট পর্ব মিটলে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের পরবর্তী ধাপের কাজ টেন্ডার ডেকে শুরু করা হবে।তখন আর সমস্যা থাকবে না।”
ফলে,আরও মাসখানেকের আগে এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই মিলবে না।সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক রাজা রাউত বলেন, “ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য একসাথে ডাঁই করা রয়েছে।প্লাস্টিক ও থার্মোকলে আগুন লেগে বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। মানুষের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ডাম্পিং গ্রাউন্ড সংলগ্ন তিস্তা নদীও দূষণের কবলে পড়ছে।”



Be First to Comment