উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: জয়নগরে নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খু্নের ঘটনার তদন্তে এ বার সাত সদস্যের ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম’ বা ‘সিট’ গঠন করল বারুইপুর জেলা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিটের মাথায় থাকছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) রূপান্তর সেনগুপ্ত। দলের বাকি ছয় সদস্যের মধ্যে আছেন বারুইপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস, জয়নগরের সিআই সুবীর ঢালি ও জয়নগর থানার আইসি পার্থ সারথি পাল।
আর বাকি তিন সদস্য এসআই পদমর্যাদার তিন আধিকারিক ত্রিদিব মল্লিক, সৌমেন দাস ও তন্ময় দাস।আর জি কর কাণ্ডের ক্ষত এখন ও টাটকা। অভয়ার সুবিচারের দাবিতে রাস্তায় ডাক্তাররা, গণইস্তফা চলছে ডাক্তারদের। এরই মাঝে জয়নগরে ঘটে গিয়েছে নারকীয় ঘটনা। ৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে। একজনকে গগ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে সোমবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে হয় ময়নাতদন্ত।

রাতে এলাকায় ফেরে দেহ। তখনই দেহ আগলে বিক্ষোভে সামিল হন পাশ্ববর্তী প্রায় ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের বাসিন্দারা। দোষীর গ্রেপ্তারের দাবিতে সুর চড়ান সকলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। গভীর রাতে শান্ত হয় উত্তেজিত জনতা।মঙ্গলবার সকালে নাবালিকার দেহ নিয়ে মিছিল করেন এলাকার বাসিন্দারা।
অভিযোগ, তাতে বাধা দেয় পুলিশ। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। এসডিপিও অতীশ বিশ্বাসের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এক পর্যায়ে রীতিমতো পালাতে বাধ্য হন তিনি। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয়দের সাফ কথা, বিচার না মেলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।তবে বুধবার সকাল থেকে মহিষমারি হাটে বেচা কেনা চলছে।
ষষ্ঠীর দিনে কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে এলাকা। তবে এরই মাঝে মৃতের পরিবারের সাথে দেখা করতে আজ কৃপাখালি আসছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জয়ন্ত দাস সহ আরো অনেকে।
তবে মহিষমারি, কৃপাখালি, গরানকাঠির মোড় সহ একাধিক এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এদিনও।



Be First to Comment