অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগে তোলপাড় কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম ।
কাঁকসা থানা অন্তর্গত গোপালপুরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী পবিত্র বিশ্বাস (২৬) রাতে বাড়িতেই শুয়ে ছিলেন। পবিত্রবাবুর পরিবারের লোকজনদের বক্তব্য, রাত দেড়টা নাগাদ এক বন্ধু তাঁকে ফোনে ডাকে। সেই ফোন পেয়ে পবিত্র ওই রাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার কিছুক্ষণ পর বাড়িতে একজন ফোন করে জানায়, পবিত্র বিপদে পড়েছেন, তাঁকে বাঁচানোর জন্য বাড়ির লোকজনদের ডাকে ।
খবর পেয়ে পবিত্রর মামা ও মামি গিয়ে পবিত্রর খোঁজ পাননি। পরে পবিত্রর এক বন্ধু ফোন করে জানান, পবিত্র কোথায় রয়েছেন । খোঁজ পাওয়ার পর পরিবারে লোকজন গিয়ে দেখতে পান, এক জায়গায় পড়ে রয়েছে পবিত্রর নিথর দেহ ।
মৃত পবিত্রর মামা সুনীল মণ্ডল জানান, তাঁদের অভিযোগ সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাস পবিত্র খুন করেছেন। নিথর পবিত্রকে রাজবাঁধে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপরেই উত্তেজিত জনতা সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে থাকা একটি চারচাকা গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং তাঁর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ । কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং দমকলের দুটি ইঞ্জিন। পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ ।
গ্রামের মানুষদের ধারণা, হয়তো পবিত্রর সঙ্গে শম্ভুর দাসের কোনো লেনদেন ছিল। শম্ভু এই এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় । কেউ টাকা না দিলে তাঁর বাড়িঘর এমনকি তাঁর স্ত্রীকেও নিয়ে যায় । স্থানীয় মানুষের দাবি, “আমরা চাই, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”
কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং দমকলের দুটি ইঞ্জিন। বুধবার সকালেও ঘটনাস্থলে আসেন কাঁকসার এসিপি সুমন জয়সওয়াল , কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষ। পুলিশ জানায়, পবিত্র বিশ্বাস(২৬) নামের ওই যুবককে গতরাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পারি। শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে তার মৃতদেহ পড়েছিল বলে তার বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কী ভাবে মৃত্যু হল এই যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তা জানা যাবে ।
সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়ার পবিত্র বিশ্বাস নামে তৃণমূল কর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় এলাকার শম্ভু দাস নামের সুদ কারবারি। তারপরেই পবিত্রকে পিটিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে । তারপর থেকেই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত শম্ভু দাস বলে অভিযোগ।
সূত্রে খবর, রাতেই উত্তেজিত জনতা শম্ভু দাসের বাড়ি ভাঙচুর এবং একটি চারচাকা গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়। ঘটনার পর থেকে শম্ভু দাসের পরিবারের কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অন্য একটি সূত্র বলছে, বিবাহ বহির্ভূত কোনো সম্পর্কের জেরেই কি এই খুন কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
Be First to Comment