অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, রানিগঞ্জ : প্রথমে বিজেপি রাজ্য নেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তারপরেই সিপিএমের নেতৃত্ব আসানসোল রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি মাঝপাড়ায় কয়লা খনির ছিটকে আসা পাথরে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
এ বার সেই ঘটনার পরে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলিকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শনে আসেন। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমুল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ভি শিবদাসন ওরফে দাসু এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তিনি তাদের অভাব অভিযোগ শোনেন। কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ কিভাবে ঘটছে তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।
এদিন তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, এই কয়লা খনিটি চালু করার সময় কয়লা উৎপাদনের জন্য কোন বিস্ফোরণ ঘটানো হতো না। তবে পরবর্তী কালে কোন এক অজ্ঞাত কারণে ওই কয়লা খনির কয়লা উত্তোলনের জন্য বিস্ফোরণ ঘটানো নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । যা নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী গ্রামবাসীদের।
তারা এই বিস্ফোরণের জেরে বারংবার বাড়ি ঘরের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তোলেন৷ এমনকি অতিরিক্ত বিস্ফোরণের জন্য বহুবার বাড়ি ঘরে পাথর আছড়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বেশ কয়েক দফায় এই সকল বিষয় নিয়ে কয়লা খনির আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও নানান বিষয় নিয়ে বারংবার কয়লা খনিতে আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। কিন্তু তারপরই গত বৃহস্পতিবার আরও একবার বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে উঠে নারাণকুড়ি মাঝপাড়ার বেশকিছু ঘরবাড়ি।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই বিস্ফোরণ এতটাই জোরালো ছিল যে তাদের প্রায় এক হাজার মিটার দূরে থাকা বাড়ি-ঘরে বড় বড় পাথরের চাঙ্গর আছড়ে পড়ে। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের ঘরবাড়ি।
ওই বৃহস্পতিবারই গ্রামের একদল বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী কয়লা খনিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে বেশ কিছু গাড়ি ও কয়লা খনির মধ্যে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনার পরেই স্তব্ধ হয়ে থাকে কয়লাখনির কাজ। এরপরে শনিবার ওই এলাকায় আসেন অগ্নিমিত্রা পাল। পরে শনিবার সন্ধ্যায় এলাকার সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ করা চলবে না এই দাবি তুলে মিছিল করে সিপিএম। এবার ভি শিবদাসন ওরফে দাসু এলাকায় পৌঁছে এই কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ করার কোন কথা ছিল না বলে জানতে পারায় তিনি সকলকেই আশ্বস্ত করেন।
পরে দাশুবাবু বলেন, যদি কয়লা খনিতে এরূপ কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তা বন্ধ করার দাবি করবেন । প্রয়োজনে আরও বড় সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবেন না বলেই দাবি করেন তিনি ।
তিনি আরও বলেন, হোলি ও দোলের পরে কোলিয়ারির ম্যানেজার ও এজেন্টের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন । সেখানে কোনকিছু না হলে আমরা সিএমডির সঙ্গে কথা বলবেন ।
Be First to Comment