আসানসোল : আরজি করের ঘটনায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর দিনের আলোয় এনে দিয়েছে ।
তাই এবার সেই ব্যর্থতাতে সামাল দিতে রাজ্য সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। চিকিৎসক সংগঠন ও আন্দোলনের চাপে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে খোলনলচে বদলানোর পথে হাঁটতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর।
সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল জেলা হাসপাতালও। সেখানকার মহিলা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার নজরদারিতে নামানো হয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ” শক্তি ” বাহিনীকে।

মুলত, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই “শক্তি ” বাহিনী। কালো পোশাক পরা এই ” শক্তি ” বাহিনীর মহিলা পুলিশ কর্মীরা স্কুটি নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরে বেড়াবে । কোনও জায়গায় মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে কোনও ধরনের সমস্যায় পড়লে এই ” শক্তি ” বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়বে ।
রাস্তায় রাস্তায় ” শক্তি ” বাহিনীর মহিলা পুলিশ ঘুরে বেড়াবে । এবার এই ” শক্তি ” বাহিনী আসানসোল জেলা হাসপাতালে নজরদারি চালাবে। সোমবারই ” শক্তি ” বাহিনীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্কুটি সওয়ার এই বাহিনী প্রতিদিন সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসবে। এমারজেন্সি বিভাগ সহ জেলা হাসপাতালের ভেতরে তারা ঘুরে বেড়াবে । কথা বলবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে। সকালে তাদের আসাটা একেবারে বাধ্যতামুলক। তারা যে আসছে ও নজরদারি করছে, তা নথিবদ্ধ করা হবে জেলা হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজারের অফিসে ( সাবেক ওয়ার্ড মাস্টার অফিস)।
জানা গেছে, এই শক্তি বাহিনী সকালে একবার তো নজরদারিতে আসবেই। প্রয়োজনে তাদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফোন করে ডাকবে। তারজন্য একটি ফোন নম্বরও জেলা হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে।
” শক্তি ” বাহিনীর নজরদারিতে বেশ কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আসানসোল জেলা হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, “শক্তি বাহিনী তার নিজের মতো করে কাজ করবে। আশা করি আর কোনও সমস্যা হবে না”।




Be First to Comment