আসানসোল : সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুদিন ধরে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন সালানপুরের বাসিন্দা যুবক মণিলাল হেমব্রম। তার শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সংকটজনক বলে জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিজিৎ রায়। তিনি মণিলাল হেমব্রমের স্ত্রী ও তার পরিবারের সাথে কথা বলেন। তিনি যুবকের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
পরে সাংবাদিকদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, মণিলাল হেমব্রম সিলিকোসিসে ভুগছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার এটা মেনে নিতে রাজি নয়
যে, সালানপুরের মানুষেরা সিলিকোসিসে ভুগছেন। সরকার এই সিলিকোসিসকে যক্ষা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।
কারণ, কেউ যদি সিলিকোসিসে আক্রান্ত হয় এবং যদি সে মারা যায়, তবে রাজ্য সরকারকে এই রোগের জন্য এবং এই রোগের কারণে মৃত্যুর জন্য দায় নিতে হবে এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি তার নাবালক সন্তান থাকে তবে তাদের জন্য দায়ভার বহন করতে হবে। রাজ্য সরকার তা করতে চায় না। তাই রাজ্য সরকার বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্রের সালানপুর এলাকায় ক্রাশারের কারণে সৃষ্টি হওয়া সিলিকোসিস রোগটি গোপন করতে চায়।

তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এটা মেনে নিতে চায় না। বিধায়ক দাবি করেন, এই এলাকার সিলিকোসিসে আক্রান্ত সকল মানুষের পরীক্ষা করে পরিচয়পত্র দেওয়া উচিত। যাতে প্রমাণিত হয় যে তারা প্রকৃত রোগে ভুগছেন। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ওই এলাকায় কোনও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। যা হয়, তা পুরোটাই লোক দেখানো। অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে, আমি জেলাশাসক বা ডিএম অফিস ঘেরাও করবো। এর জন্য বিজেপি প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
অমরনাথ মাহাতো নামে এক ব্যক্তি বলেন, সালানপুর এলাকায় কেবল একজন মণিলাল হেমব্রম নন, অনেক মানুষ সিলিকোসিস রোগে ভুগছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের পরিচয়পত্র দিচ্ছে না, যাতে তারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে। তিনি বলেন, মণিলাল হেমব্রমের মতো যারা সিলিকোসিসে আক্রান্ত তাদের মৃত্যু নিশ্চিত কিন্তু যদি প্রমাণিত হয় যে, তাদের সিলিকোসিস আছে, তাহলে তাদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে এবং তারা আর্থিক সহায়তা পাবে। সেই কারণেই তিনি চান রাজ্য সরকার সিলিকোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করুক, যাতে তাদের প্রতি কোনও অবিচার না হয়।
বিজেপি বিধায়ক এদিন আসানসোল জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি আসানসোলে জেলা শ্রম দপ্তরে লেবার কমিশনার ও জেলা স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে সিএমওএইচের সঙ্গে কথা বলেন।




Be First to Comment