Press "Enter" to skip to content

জলপাইগুড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সাতকুড়ায় চতুর্ভুজা গর্ভেশ্বরীর দুর্গাপুজো ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ

জলপাইগুড়ি: চতুর্ভুজা গর্ভেশ্বরীই এখানে দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। ফি বছর চতুর্ভুজা গর্ভেশ্বরীর সামনে ঘট বসিয়ে দুর্গাপুজো হয় এখানে। জলপাইগুড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সাতকুড়ার এই পুজো ঘিরেই ব্যাপক উৎসাহ জেলা জুড়ে।

এলাকার নয়জন বালিকা ও এক বালককে একসঙ্গে বসিয়ে কুমারীপুজোর রীতি রয়েছে ত্রিস্রোতা মহাপীঠে। আন্তর্জাতিক সীমারেখার জট কাটিয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু হয় এই মন্দিরের। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরিশচন্দ্র রায়ের দাবি, “এই এলাকা মৎস রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। এখানেই দেবী সতীর বামপদ পতিত হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের বোদায় দেবীর বাম অঙ্গুলিসমূহ পতিত হয়। ওটি ২৬টি উপপীঠের একটি। ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম। প্রাণতোষিনী তন্ত্র ও বৃহদ্ধর্মপুরাণে এর বর্ণনা রয়েছে।”

পরে বৈকুন্ঠপুর রাজপরিবারের তরফে ৪৪৬ একর জমি দেবোত্তর করা হয়। করতোয়া, পাঙ্গা ও যমুনা নদীর প্রায় মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এই মন্দির ত্রিস্রোতা মহাপীঠ নামেই পরিচিত। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে এখানে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে।

গর্ভেশ্বরীর মূর্তির সামনেই ঘট বসিয়ে মায়ের পুজো হবে। অতীতে বলি প্রথা থাকলেও, এখন সাত্ত্বিক ভাবে মায়ের ভোগ দেওয়া হয়। খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, পাঁচ রকমের তরকারি, দই, মিষ্টি ও ফল সহযোগে দেবীর ভোগ হয়। পাশেই দেবী গর্তেশ্বরী মন্দির। সেখানেও নিত্য পুজো হয়। দুর্গাপুজোর সময়ে বিশেষ ভোগেরও ব্যবস্থা থাকে এখানে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *