অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, রানিগঞ্জ : চুরিকে পেশা হিসাবে নেওয়া একজন পেশাদার চোর এক অদ্ভুত চুরির ঘটনা ঘটায়। আর সেই চুরির কিনারা করল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের জামুরিয়া থানার পুলিশ।
কখন কিভাবে চুরির ঘটনা ঘটানো হবে সে সম্পর্কে গোপনে নানান বিষয় জেনে একজন কয়লা খনি কর্মীর বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার বিষয়, জানতে পেরে, বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, আর সেই অনুপস্থিতিতে কয়লা খনিকর্মীর বাড়ির মধ্যে থাকা মূল্যবান সোনার গহনা ও বেশ কিছু সামগ্রী চুরি করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে।
চুরি হয়ে যাওয়ার পরে এই বিষয়টি খনিকর্মী কুমার অভিষেক জানতে পারেন তার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ।
তিনি এ বিষয়ে খোঁজখবর করে পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানান । জামুড়িয়া থানা ও কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানের বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে এবং মোবাইল সূত্র ধরে টেলিফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে, এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই ঘটনার মূল অভিযুক্তদের সনাক্ত করতে তৎপর হয়।

এরপর এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রানিগঞ্জের রহমত নগর, চাঁদ মহল্লা থেকে মোহাম্মদ জামাল নামের এক ব্যক্তিকে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে ধৃতকে আদালতে পেশ করে তাকে পুলিশে হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনায় চুরি যাওয়া বেশ কিছু স্বর্ণ অলংকার যার মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ্যাধিক টাকা বলে জানা যায় । সেই গহনা ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতি নিজের কাছে লুকিয়ে রাখা সবকিছু বের করে পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেয় বলে জানা গেছে। সেই ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ সব জানতে পারে ।
এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে এবং আর কি কি জিনিস চুরি করেছে এবং অন্য কোনও চুরির ঘটনার সঙ্গে তারা যুক্ত কিনা সেসব বিষয়ে জানার জন্য আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে । সেই অনুযায়ী বিচারকের কাছে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত মোহাম্মদ জামাল এর আগে অন্ডাল থানা এলাকায় এক ইসিএলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বাড়িতে অনেক সোনার গহনা চুরির সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল । এছাড়া ধৃত এই ব্যক্তি আরও বেশ কিছু চুরির ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই সূত্র ধরে পুলিশ অন্য আরও কিছু চোরকে নিজেদের কব্জায় নিতে পারে ।




Be First to Comment