উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: নির্যাতিতা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শেষবার মহিষ মারি হাটের এডুকেয়ার মিশনে শুক্রবার পড়তে গিয়েছিল বিকেল পাঁচটার সময়। সেখান থেকে টিউশনি পড়ে ফেরার পথেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা।
এই ঘটনায় কার্যত শনিবার সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে জয়নগরের মহিষামারি হাট এলাকা। পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর কোনটাই বাদ যায়নি। টিউশন পড়তে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করে পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথেই নিখোঁজ হয়ে যান চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়।স্থানীয় সূত্রে খবর,নাবালিকার বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাড়ি গৃহশিক্ষিকার। প্রথম শ্রেণি থেকেই তাঁর কাছে পড়াশোনা করত ওই নাবালিকা।গত শুক্রবারও স্থানীয় একটি কোচিংয়ের শিক্ষিকা প্রতিমা বিশ্বাসের কাছে টিউশন পড়তে গিয়েছিল জয়নগরের চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রী। টিউশন পড়ে যাওয়ার পথে তার সঙ্গে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা কিন্তু মানতে নারাজ তিনি। দোষীদের কড়া শাস্তি চেয়েছেন নাবালিকার শিক্ষিকা।

একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।নির্যাতিতা ছাত্রীর শিক্ষিকা জানান, “ও খুব মেধাবী ছিল। আমি তো ভাবতেই পারছি না। এই রকম যাঁরা ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের যেন ফাঁসি হয়। পুলিশ তো কোনও দায়িত্ব নেয়নি। ওর বাবা মা যখন মহিষমারির পুলিশ ক্যাম্পে যখন এসেছিল অভিযোগ জমা করতে, তখন ওদের পাঠায় জয়নগর থানায়। তারপর কুলতলি থানায়। পুলিশ তো কোনও দায়িত্ব নেয়নি। রাত্রি বেলাই যদি পুলিশ খুঁজত, তাহলে হয়ত বেঁচে থাকতে মেয়েটা। আজ পুজোর আগে এভাবে বিসর্জ্জন হতো না মেয়েটা”।



Be First to Comment