Press "Enter" to skip to content

ভাদু পরব ঘিরে আনন্দে মেতেছে পুরুলিয়া

প্রবোধ দাস, পুরুলিয়া: জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বলতেই মনে পড়ে ভাদু, টুসু, করম, ছৌ, ঝুমুরের কথা। ভাদ্র মাসের শেষে ভাদু পরব পালিত হয় পুরুলিয়ায়। এখানকার মহিলারা ভাদ্র সংক্রান্তির সাত দিন আগে ভাদুর মূর্তি ঘরে নিয়ে এসে পুজো করেন৷ সংক্রান্তির আগের দিন চলে জাগরণ৷ সারা রাত জেগে ভাদু গান করেন মহিলারা। একে অপরকে করানো হয় মিষ্টিমুখও৷

মূলত পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এবং লাগোয়া, বিহার, ঝাড়খণ্ডের দু-একটা জেলায় ভাদু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ভাদু গীত-কেন্দ্রিক লোক-উ়ৎসব। সে উৎসবের উৎস খুঁজতে গিয়ে পেয়েছি, নানা কিংবদন্তি। বিভিন্ন গবেষক, লেখক, ভাদু শিল্পীদের দেওয়া তথ্যানুসারে কিংবদন্তির বিভিন্ন রূপ কেমন? ভাদুই বা কে? এ নিয়ে নানা কিংবদন্তী রয়েছে। যেমন, অনেকে মনে করেন ‘ভাদ্র’ মাস থেকে ভাদু শব্দটি এসেছে,আবার কেও মনে করেন ভদ্রাবতীর সংক্ষিপ্ত নাম ভাদু, আবার এও শোনা যায় পুরুলিয়ার এক রাজা নীলমণি সিং দেও এর কন্যা,কারো মতে কাশিপুরের রাজার মেয়ে, এই সব মত থেকে নানা প্রশ্ন উঠে আসে। যেমন ভাদ্র মাস থেকে কি ভাদু পুজো? সত্যের খোঁজ পাওয়া ভার। কারণ, সব লোক- উৎসবের সঙ্গে মাসের নাম জড়িয়ে থাকে এমনটা নয়। তবে অঞ্চলভেদে মূর্তি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানও পালিত হয়, অনুষ্ঠিত হয় মেলাও, মানবাজার মহকুমার দুয়াসিনি সহ বিভিন্ন নদীঘাটে বসে মেলা। গোটা মাস শেষে ভাদ্র সংক্রান্তির পরের দিন বিসর্জন দেওয়া হয় ভাদুর মূর্তি।

এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলার জে কে কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভাদু ও টুসু এই দু’টি পুজো পুরুলিয়ার মানুষ কোনও কামনা বাসনা ছাড়াই করেন। অর্থাৎ নিষ্কামভাবে। জেলার সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা খুব জরুরি।” তবে এটুকু অন্তত বলাই যায় যে, ভাদু পুরুলিয়া জেলাবাসীর কাছে দেবী নন যেন ঘরের মেয়ে হিসেবে পূজিতা হন। পুরুলিয়ার মেয়ে, বউদের কাছে ভাদু পরব একটা আলাদা মাত্রা পায়৷ তাঁরা ভাদ্র মাসজুড়ে ভাদুর আরাধনা করেন কোনও প্রার্থনা ছাড়াই ৷

প্রবোধ দাস, পুরুলিয়া: জেলায় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বলতেই মনে পড়ে ভাদু, টুসু, করম, ছৌ, ঝুমুরের কথা। ভাদ্র মাসের শেষে ভাদু পরব পালিত হয় পুরুলিয়ায়। এখানকার মহিলারা ভাদ্র সংক্রান্তির সাত দিন আগে ভাদুর মূর্তি ঘরে নিয়ে এসে পুজো করেন৷ সংক্রান্তির আগের দিন চলে জাগরণ৷ সারা রাত জেগে ভাদু গান করেন মহিলারা। একে অপরকে করানো হয় মিষ্টিমুখও৷ মূলত পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এবং লাগোয়া, বিহার, ঝাড়খণ্ডের দু-একটা জেলায় ভাদু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ভাদু গীত-কেন্দ্রিক লোক-উ়ৎসব। সে উৎসবের উৎস খুঁজতে গিয়ে পেয়েছি, নানা কিংবদন্তি।

বিভিন্ন গবেষক, লেখক, ভাদু শিল্পীদের দেওয়া তথ্যানুসারে কিংবদন্তির বিভিন্ন রূপ কেমন? ভাদুই বা কে? এ নিয়ে নানা কিংবদন্তী রয়েছে। যেমন, অনেকে মনে করেন ‘ভাদ্র’ মাস থেকে ভাদু শব্দটি এসেছে,আবার কেও মনে করেন ভদ্রাবতীর সংক্ষিপ্ত নাম ভাদু, আবার এও শোনা যায় পুরুলিয়ার এক রাজা নীলমণি সিং দেও+র কন্যা,কারো মতে কাশিপুরের রাজার মেয়ে, এই সব মত থেকে নানা প্রশ্ন উঠে আসে। যেমন ভাদ্র মাস থেকে কি ভাদু পুজো? সত্যের খোঁজ পাওয়া ভার। কারণ, সব লোক- উৎসবের সঙ্গে মাসের নাম জড়িয়ে থাকে এমনটা নয়। তবে অঞ্চলভেদে মূর্তি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানও পালিত হয়, অনুষ্ঠিত হয় মেলাও, মানবাজার মহকুমার দুয়াসিনি সহ বিভিন্ন নদীঘাটে বসে মেলা।

গোটা মাস শেষে ভাদ্র সংক্রান্তির পরের দিন বিসর্জন দেওয়া হয় ভাদুর মূর্তি।এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলার জে কে কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভাদু ও টুসু এই দু’টি পুজো পুরুলিয়ার মানুষ কোনও কামনা বাসনা ছাড়াই করেন। অর্থাৎ নিষ্কামভাবে। জেলার সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা খুব জরুরি।”

তবে এটুকু অন্তত বলাই যায় যে, ভাদু পুরুলিয়া জেলাবাসীর কাছে দেবী নন যেন ঘরের মেয়ে হিসেবে পূজিতা হন। পুরুলিয়ার মেয়ে, বউদের কাছে ভাদু পরব একটা আলাদা মাত্রা পায়৷ তাঁরা ভাদ্র মাসজুড়ে ভাদুর আরাধনা করেন কোনও প্রার্থনা ছাড়াই।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *