উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সেঞ্চুরি পার করেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। চিন্তা বাড়িয়েছে ক্যানিং মহকুমা ও ভাঙড়। কারণ জেলার মোট আক্রান্তের মধ্যে একটা বড় অংশই এই এলাকার। বারুইপুরেও গতবারের তুলনায় এবারে আক্রান্তের সংখ্যাতেও খুব একটা হেরফের হয়নি সেখানে।
এদিকে চলতি মরশুমে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব যাতে বৃদ্ধি না পায়, তার জন্য জেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, বারুইপুর ব্লকে এখনও ১৩জন আক্রান্ত হয়েছেন। সোনারপুর ও কুলতলি ব্লকে পাঁচ, জয়নগর ১ নম্বর ব্লকে ছয়জন, জয়নগর ২ ব্লকে একজন আক্রান্ত। এদিকে ভাঙড়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উদ্বেগের বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। ভাঙড়+১ ব্লকে ১৬ এবং ২ ব্লকে আটজন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, গত বছরে ক্যানিং মহকুমায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭। এই বছরে তা দ্বিগুণের বেশি হয়ে ৪৬ হয়েছে। কানিং ১ ব্লকে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ২১ জন। ক্যানিং ২ ও বাসন্তী ব্লকে ১১ জন করে এবং গোসাবা ব্লকে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। বারুইপুর মহকুমায় গত বছরে ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিল ৭০ জন। এবার তা ৭১। পুরসভাগুলির চিত্র কেমন?

স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, বারুইপুর পুরসভায় গত বছরে আক্রান্ত ছিল একজন। এবারে পুরসভার ৫ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় গত বছরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ১২ জন। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৪।
পুরসভার ৫, ৭, ১০, ১৫, ২৫, ২৭, ২৮, ৩১,৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন আক্রান্তরা। এই পুরসভায় তাই তিন লক্ষ ৭৫ হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ জন।




Be First to Comment