Press "Enter" to skip to content

সুন্দরবনে বাঘের গতিবিধি নজরে রাখতে ১০০টি ক্যামেরা বসাচ্ছে বন দফতর

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: সুন্দরবনের কুলতলিতে সম্প্রতি বাঘের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত ১৫ দিনে সাতবার বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করেছে, বিশেষ করে মৈপীঠ বৈকুণ্ঠপুর ও গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বন দফতর মৈপীঠ থেকে দেউলবাড়ি পর্যন্ত ১০০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাঘের গতিবিধি বোঝা এবং লোকালয়ে প্রবেশ করা বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করতেই আজমলমারি ১, ২, ৩, ১১, ১২ ও হেরোভাঙা ৯ নম্বর জঙ্গলে ক্যামেরাগুলি বসানো হবে। এছাড়া জঙ্গলের মধ্যে সেন্সরযুক্ত আলো লাগানো হবে, যা লাল, নীল ও সবুজ রঙের হবে। এই আলো সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত জ্বলবে, যা বাঘ দেখলেই সরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বারবার বাঘের উপস্থিতির কারণে মৈপীঠের বিনোদপুরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন—দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগীয় আধিকারিক নিশা গোস্বামী, অতিরিক্ত আধিকারিক অনুরাগ চৌধুরী, কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য, মৈপীঠ থানার ওসি শান্তনু বিশ্বাস, কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির বন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সাহাদাত শেখ এবং তিনটি পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও টাইগার টিমের সদস্যরা।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জঙ্গলের সংলগ্ন এলাকায় আর পশুর মৃতদেহ ফেলা যাবে না এবং বিষয়টি নিয়ে তিনটি পঞ্চায়েতে প্রচার চালানো হবে। বন দপ্তর প্রতি মাসে জাল পরীক্ষা করবে।

কয়েকদিন আগে বাঘের হামলায় প্রাণ হারানো কুলতলির মৃত মৎস্যজীবী বর্ণধর মণ্ডলের স্ত্রী কল্পনা মণ্ডলের হাতে বন দপ্তর পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেয়। তবে, এই সরকারি সাহায্যের প্রশংসা করলেও সংগঠনের জেলার সহ-সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল দাবি করেছেন, শুধু ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট নয়, মৃতের পরিবারের জন্য সরকারি চাকরি ও সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *