প্রবোধ দাস, পুরুলিয়া: দোতলা বাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় পঞ্চায়েতের এক নির্বাহী সচিবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে প্রশাসনিক খামখেয়ালিপনার অভিযোগ তুলে সোচ্চার পঞ্চায়েত কর্মীরা। উল্লেখ্য যে, পুরুলিয়ার বরাবাজার ব্লকের সিন্দরী গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিডিও-র নির্দেশে হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট বিপদতারণ সহিসকে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, হঠাৎই কর্মস্থলের পরিবর্তন ও বাড়ি থেকে কর্মস্থলের দূরত্ব আকস্মিক বেড়ে যাওয়াতে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ, সততার সঙ্গে কাজ করার জন্যই বারবার ব্লকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের রোষানলে পড়তে হয় বিপদতারণবাবুকে।
গত রবিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজের পৈতৃক বাড়ি পুঞ্চা থানার নপাড়া গ্রামে আসেন তিনি। তারপরেই আজ সোমবার সকালে ওই পঞ্চায়েত আধিকারিকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামের বাসিন্দারা। মৃত্যুর আগে তিনি একটি ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট করেন নিজের প্রোফাইলে। আর এখান থেকেই তার সহকর্মীরা কর্মস্থলের পরিস্থিতির চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল দাবি তুলছেন। আজ পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে দেহটি ময়নাতদন্ত হয়, সেখান থেকে মৃতের মেয়ে অভিযোগ তুলেন তাঁর বাবার প্রতি আধিকারিকদের চাপের বিষয়টি।

অন্যদিকে এই ঘটনা জানার পরই জেলার বিভিন্ন ব্লক এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির কর্মীরা বরাবাজার ব্লক অফিসের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এবং প্রশাসনিক খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের সহকর্মী বিপদতারণ সহিস মানসিক অত্যাচারের কারণেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। তাই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা বিক্ষোভের মাধ্যমে।




Be First to Comment