অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: উন্মোচনের প্রহর গুনছে তিস্তার ‘নয়া’ বৃত্তান্ত। শহরের ২ লক্ষের বেশি মানুষের তৃষ্ণা মেটাবে ‘উত্তরের ত্রাস’। সব ঠিক থাকলে, এ বছরের শেষ দিক থেকেই তিস্তার জল পৌঁছে যাবে।
শুরুটা হয়েছিল ২০১৮ সালে। মাঝের ৬ বছরে ‘তিস্তা পারের বৃত্তান্তে’ যুক্ত হয়েছে হাসি-কান্নার নানা অধ্যায়। এ বার শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে ‘অম্রুত’ প্রকল্পের। কাজ শেষ হলে শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের ৩৩ হাজার বাড়িতে তিস্তা নদীর পরিশ্রুত জল পৌঁছে যাবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ। তার মাস তিনেক আগে, ডিসেম্বরেই প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। এমনটাই দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।
এ দিকে, শহর সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকার একাংশে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে। বালাপাড়ার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে তিস্তার জল কে পরিশুদ্ধ করা হবে। আয়রন ও ব্যাক্টেরিয়া মুক্ত এই জলই পান করবেন সবাই। অনেক আগেই, জল সরবরাহের জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকার জন্য পাঁচটি অত্যাধুনিক রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে।

পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, দুই শতাধিক কিলোমিটার পাইপ লাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৮ সালে কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কোভিডকালে কাজ থমকে যায়। বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দাদের একাংশের আন্দোলনের ফলেও কাজের গতি কিছুটা কমেছিল। তবে, সব বাধা কাটিয়ে শেষ হাসি হাসতে চলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
এই পুরো প্রকল্পটির দায়িত্বে ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা মিটিয়েছি। কাজ এখন শেষের পথে। সময়ের আগেই প্রকল্প চালু হয়ে যাবে।” তাঁর আরও সংযোজন, এই প্রকল্পে কেন্দ্র ৪৫ শতাংশ ও রাজ্য ৫৫ শতাংশ টাকা মঞ্জুর করেছে।
কেরানি পাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নির্মল সেনগুপ্ত বলেন, “এটা সময়োপযোগী পদক্ষেপ। শহরের জন সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ভূ-গর্ভস্থ জলের জোগানে টান পড়তে বাধ্য। বিকল্প ব্যবস্থা চালু হলে সবাই উপকৃত হবেন।”
কলেজ ছাত্রী শ্রেয়সি দাস বলেন, “ভূ-গর্ভস্থ জলের স্তর নেমে গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন অংশে জল সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। এই প্রকল্প চালু হলে এই এলাকায় জলের কোনও সমস্যা থাকবে না।”




Be First to Comment