উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি সুন্দরবনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, অসাবধানতায় পুকুরে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা এখানকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঘটে। সেই প্রবণতা রুখতেই উদ্যোগ নিয়েছে এক বেসরকারি সংস্থা। সুন্দরবনের কুলতলির বৈকুণ্ঠপুর ও চৌরঙ্গিতে পুকুরভিত্তিক সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার শেখানোর কাজ শুরু হয়েছে।
শতাধিক ছাত্রছাত্রী এখানে নিয়মিত সাঁতার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এই প্রকল্পে সাহায্য করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সিনি’। সংস্থার পশ্চিমবঙ্গের আধিকারিক সুজয় রায়ের কথায়, ‘‘সুন্দরবনের শিশুদের সাঁতার শেখানো ছাড়া এই মৃত্যুর হার কমানোর উপায় নেই। ঘরোয়া, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ চলছে।’’
স্থানীয় সাঁতারপ্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ছোটদের শেখানো হচ্ছে নিরাপদ সাঁতার কৌশল। আয়োজক সংস্থার এক সদস্য জানান, ‘‘নিজেদের খরচে পুকুরভিত্তিক সুইমিং পুল তৈরি করা হয়েছে। প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।’’ পাশাপাশি স্থানীয়দের ডোবা পুকুর ঘিরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছনোর প্রয়োজনীয়তার কথাও প্রচার করা হচ্ছে। ছোট বয়স থেকেই সাঁতার শেখালে বহু দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে মত তাঁদের।




Be First to Comment