রানিগঞ্জ : শিল্পাঞ্চলে চলা কয়লা ও বালির বেআইনি কারবার নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শাসক দলের মদতে কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্মে এই খনি শিল্পাঞ্চলের মাটির তলা ফাঁকা হয়ে গেছে। তাঁর সতর্ক বার্তা, যে কোনও মুহূর্তে ধস নেমে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আসানসোল কয়লাখনি বিস্তীর্ণ এলাকায় কয়লা চুরি নিয়ে এমনই মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।
শুক্রবার আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের নতুন এগরায় দলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের আহ্বানে শ্রীরামচন্দ্রের পুজো উপলক্ষে হওয়া এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ।অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর বক্তব্যে আসানসোল খনি এলাকা সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কয়লা ও বালি চুরি নিয়ে সরাসরি শাসক দলের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের একাংশে বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, দায়িত্ব নিয়ে বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরে ৩ জানুয়ারি থেকে এই খনি এলাকায় ব্যাপক হারে অবৈধ কয়লা খনন করে কয়লা চুরি শুরু হয়েছে। কেবল গেট কিপার বদলেছে। বাকি সব ঠিক আছে। এ অনেকটা নতুন বোতলে পুরনো মদ।
তিনি আরো বলেন, এই এলাকায় ইসিএলের যদি সরকারি ১০টি কয়লাখনি চলে তাহলে ১০০ টির বেশি অবৈধ বা বেআইনি খনি চলছে। এখানকার কিছু মানুষকে সামান্য অর্থ দিয়ে কাজ করিয়ে মাটির তলা ফাঁকা করে দিচ্ছে। তারা ভাবছে দূর্মুল্যের বাজার সাইকেল বা ছোট গাড়ি করে কয়লা নিয়ে গিয়ে ২০/৩০ হাজার টাকা ইনকাম হলে ক্ষতি কী।
একইভাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যে হারে বালি পাচার হচ্ছে এখান থেকে তাতে নদী শেষ হয়ে যাবে। এটা বন্ধ করতে অবিলম্বে গ্রীন ট্রাইবুনাল এবং আদালতের হস্তক্ষেপ চাইছি । এই চুরির প্রতিবাদ করলে আমাদের দলের বিধায়ক সহ যারা এর এই চুরির বিরোধিতা করছেন তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভুয়ো মামলা দেওয়া হচ্ছে। এই এলাকার মানুষদেরকেও এটা বুঝতে হবে।
শাসক দল দাবি করছে ইডি ও সিবিআই ধরেও তো বালি ও কয়লা চুরিতে কিছুই হয়নি। এর উত্তরে তিনি বলেন, দেখুন অনেক বড় বড় নেতার এখনো পর্যন্ত অনেক সম্পত্তি ইডি ও সিবিআই অ্যাটাচ করেছে। কিছুদিন অপেক্ষা করুন দেখবেন এদের পরিণতি কি হয়।
মেদিনীপুর হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু নিয়েও তিনি বলেন, এর পেছনেও দুর্নীতি আছে। তিনি বলেন, এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করি।




Be First to Comment