উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : বেহাল অবস্থায় দাঁড়িয়ে সুন্দরবনের কুলতলির একটি ফ্লাড সেন্টার। দ্রুত মেরামতের প্রতিশ্রুতি বিধায়কের।
প্রতিবছরই সুন্দরবনে কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোই লেগেই থাকে। যার কারণে সুন্দরবনের নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের দুর্যোগের কথা কানে আসলে ঘুম উড়ে যায় তাদের। ভিটেমাটি ছেড়ে তাদের আশ্রয় হয় কোন না কোন ত্রাণ শিবিরে। আর এভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকলেই তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়।
বাম আমলে ঘূর্ণিঝড়ের মতন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সুন্দরবনের মানুষকে আশ্রয় দিতে সুন্দরবনে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় পুনর্বাসন কেন্দ্র বা ফ্ল্যাড সেন্টার তৈরি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ঠিকমতন রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে বর্তমানে কুলতলিরগোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের কৈখালি ফ্লাড সেল্টারটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যখন এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মত তাঁরা যখন নদীর পার্শ্ববর্তী মাটির বাড়ি ছেড়ে ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় নেয় ঠিক তখনই সুন্দরবনের কুলতলির গোপালগঞ্জে কিন্তু সেই জায়গা থেকে সম্পূর্ণ চিত্রটি আলাদা হয়ে যায়।এই ফ্লাড সেন্টারের পাশেই রয়েছে কুলতলি গোপালগঞ্জ বি কে আর এম হাইস্কুল,আর সেই স্কুলেই আশ্রয় নেয় গ্রামবাসীরা কারণ দীর্ঘদিন ধরে ফ্ল্যাড সেন্টারের বেহাল দশা। ঘূর্ণিঝড় হলে তাই এখানেই আশ্রয় নেন গ্রামবাসীরা।
ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে কুলতলি ব্লকে ৭ টি ফ্লাড সেন্টার ও বেশ কয়েক টি স্কুল খুলে রাখা হয় কোন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়। এ বিষয়ে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল দ্রুত কৈখালি ফ্লাড সেন্টারটির মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
Be First to Comment