Press "Enter" to skip to content

সুন্দরবনের নদী বাঁধ পরিদর্শনে এসে বিক্ষোভের মুখে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, নামখানা : বিক্ষোভ পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, বিধায়ক, মন্ত্রীদের ওপর থেকে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের নামখানায় নদীবাঁধ পরিদর্শনে এসে এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্থানীয় বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।

বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।গত কয়েক দিনে নামখানার নারায়ণগঞ্জে নদীবাঁধ ভেঙে একাধিক বার প্লাবিত হয়েছে গোটা এলাকা। এমনকি, দুর্গাপুজোর আগেও প্রায় ৫০ মিটার এলাকা জুড়ে নদীবাঁধ ভেঙে যায়। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বাঁধ ভাঙার ঘটনায় প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে। কাজ চলার সময় একটি জেসিবি গাড়ি ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে তলিয়ে যায়।

এর পর বৃহস্পতিবার সকালে সেই নদীবাঁধ পরিদর্শনে এসে এলাকার বহু মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীকে। পুলিশ প্রশাসনের সামনেই মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষজন।

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, একাধিক বার এই অঞ্চলে নদী বাঁধ ভাঙলে ও প্রশাসনের তরফে মেরামতি করা হয় না। ফলে বার বার বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ঘরবাড়ি সহ চাষের জমি। এমন কি এই ভাঙনের কবলে পড়ে সম্প্রতি এক মহিলার মৃত্যুও ঘটে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, পাকাপাকি ভাবে বোল্ডার ফেলে নদীবাঁধ সারাইয়ের কাজ করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না।

এই সব অভিযোগ নিয়েই এদিন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকার মানুষজন। তাঁদের দাবি, প্রশাসনকে পাকাপাকি ভাবে নদীবাঁধ সারাইয়ের কাজ করতে হবে। না হলে কাজ এগোতে দেবেন না তাঁরা।

এদিন এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা বলেন, “বুধবারই বিষয়টি জেনেছি যে, নারায়ণগঞ্জে নদী ভাঙনের পরে সরকারি কাজ চলছিল। সেখানে আমাদের একটি জেসিবি মেশিন নদীগর্ভে চলে যায়। চালক কোনও মতে প্রাণে বেঁচেছে। এটা তাঁদের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ। কারণ এর আগে কোনও জনপ্রতিনিধি এখানে আসেননি। আমিই প্রথম জনপ্রতিনিধি হিসাবে এখানে এলাম।ফলে তাঁদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। তবে আমি যথাসাধ্য তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। মানুষের কাছে হাতজোড় করেও বলেছি, আমাদের সময় দিন।যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় ওখানে কাজ চলছে”।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *