Press "Enter" to skip to content

সুন্দরবনের গ্রামের পুকুরে আচমকা একটি দৈত্যকার কুমির, এলাকা জুড়ে শোরগোল

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন : এ বারে সুন্দরবনে পুকুরে মিলল কুমির।উওেজনা গ্রামে। সুন্দরবন মানেই জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। কার্যত এমনই প্রবাদ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে সুন্দরবনে। সুন্দরবনে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি ঘুরতে যায় কুমির এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন করার জন্য। কিন্তু সুন্দরবনের মানুষরা জানেন যে, সুন্দরবনে গিয়ে কুমির আর বাঘের দর্শন পাওয়া মানে সাক্ষাৎ মৃত্যু।

বৃহস্পতিবার সকালে কুমির আতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বাসন্তী থানার মসজিদ বাটি গ্রামে এক ব্যক্তির পুকুরে দৈত্যাকার কুমির দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। এরপর মুহূর্তের মধ্যে এলাকাবাসী ওই ব্যক্তির পুকুরে চলে আসে। দৈত্যাকার কুমির গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ার কারণে যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী, তেমনই কৌতূহলবশত কুমির দেখতে পুকুরের কাছে ভিড় ও জমান প্রায় কয়েকশো মানুষ।

স্থানীয় সূত্রেজানা যায় বৃহস্পতিবার সকালে মসজিদ বাটি গ্রামের মঙ্গল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির পুকুরে হঠাৎই কুমির দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। দৈত্যাকার কুমিরটিকে উদ্ধার করতে এলাকায় আসে মাতলা বন রেঞ্জের বন আধিকারিকেরা। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান পাশেই রয়েছে বিদ্যাধরী নদী আর সেই বিদ্যাধরী নদী থেকেই এই দৈত্যাকার কুমিরটি এলাকায় ঢুকে পড়েছে।প্রায় ১১ থেকে ১২ ফুট লম্বা এই কুমিরটি বলে জানা গিয়েছে।পুকুরে জাল ফেলে কুমিরটিকে উদ্ধার করে বন দফতরের আধিকারিকেরা।

বন দফতর সূত্রে খবর, সুন্দরবনে প্রায় সময় বিভিন্ন নদী থেকে কুমির লোকালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। খাদ্যের সন্ধানে কুমির সম্ভবত এমন করে বলে খবর।এলাকাবাসীরা খবর দিলে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন দফতর ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। কার্যত এই কুমিরটিও সেই রকম খাবারের সন্ধানে হয়তো লোকালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

কুমিরটিকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ঝড়খালি বন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।এবং কুমিরটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পুনরায় সুন্দরবনের নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূএে জানা গেল।আর গ্রাম থেকে কুমিরটি চলে যাওয়ায় স্বস্তি মিলেছে গ্রামবাসীদের।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *