Press "Enter" to skip to content

এসটিএফের অভিযান, বিহার থেকে আসা ১০টি পাইপগান ও ৫০ রাউন্ডের বেশি কার্তুজ উদ্ধার, ধৃত দুই

কুলটি : পাশের রাজ্য বিহার থেকে আসা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করল রাজ্যে পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

শনিবার সন্ধ্যার পরে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে চৌরঙ্গী মোড়ের কাছে পুরনো কল্যানেশ্বরী মন্দিরের কাছে এসটিএফের একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি অভিযান চালায়। তখনই সন্দেহজনক একটি চারচাকা গাড়ি থেকে পাওয়া যায় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫০ রাউন্ডেরও বেশি তাজা কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয় দুজনকে।

জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া দুজন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা। তার মধ্যে একজনের নাম মিনারুল ইসলাম ও অন্যজনের নাম শফিকুল মন্ডল। সেই সঙ্গে চারচাকা গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার সকালে কুলটি থানার পুলিশের তরফে ধৃতদেরকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আসানসোল আদালতে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

এসটিএফে সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য পুলিশের এসটিএফের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে শনিবার সকালের দিকে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাংলায় ঢুকছে। সেই মতো এদিন সন্ধ্যের পরে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার সীমান্তবর্তীর জাতীয় সড়কে এসটিএফের আধিকারিকরা গোপনে নজরদারি শুরু করেন। তখন একটি চারচাকা গাড়ি আসছিল। তাতে চালক সহ দুজন ছিল। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিকে আটকানো হয়। এরপর তল্লাশি করে গাড়ি থেকে পাওয়া যায় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। এরপর সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়।

আরো জানা গেছে, এই অভিযান নিয়ে শনিবার রাতে রাতেই কুলটি থানায় এসটিএফের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এই প্রসঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কররা রবিবার বলেন, শনিবার রাজ্য পুলিশের এসটিএফের একটি অভিযান কুলটি থানা এলাকায় হয়েছে। তাদের তরফে রাতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন তাদেরকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ভিন রাজ্য থেকে অপরাধী ও অস্ত্র বাংলায় ঢোকা নিয়ে সরব হন। দুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা তথা রাজ্য পুলিশকে আরো সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন। তারপর গোটা রাজ্য জুড়ে কোমর বেঁধে নামে পুলিশ।

উল্লেখ্য, শনিবারই পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বিধান সভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এই অস্ত্র আনার পেছনে এই ভোটের ফল প্রকাশের কোন সম্পর্ক আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।

আরো জানা গেছে, ধৃতরা আন্তঃরাজ্য অস্ত্র কারবারি চক্রের চাঁই। তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে এসটিএফ জানার চেষ্টা করবে, এই চক্রের পেছনে আর কে বা কারা আছে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *