অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, অন্ডাল : আসানসোল কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্রজিৎ সিং আহলুওয়ালিয়া বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে দলের নেতা ও কর্মীরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, কুলটির বিধায়ক ড. অজয় পোদ্দার এবং জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় উপস্থিত ছিলেন।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল আসনে তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে, বিজেপি প্রবীণ নেতা এসএস আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করেছে। এই আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর মাটির সম্পর্ক রয়েছে। অন্ডাল বিমানবন্দরে এসএস আলুওয়ালিয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দল আসানসোল থেকে একজন ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল। তিনি নেতৃত্বের কাছে তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। দল তাঁকে যোগ্য মনে করায় এর জন্য তিনি দলের কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি জানান, “আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বড় হয়েছি। এখানেই আমার শৈশব কেটেছে। এখানকার মাটির সঙ্গে আমার পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। গোটা আসানসোল নিজের বাড়ির মত।”

তিনি আরও বলেন, এটা ব্যক্তিগত লড়াই নয়। আদর্শের লড়াই। বিজেপি সবার সমর্থন, সবার উন্নয়নের রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, “খামোশ” বলে মানুষকে স্তব্ধ করার চেষ্টা গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। আপনি যে কোনো ক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত হন শুধুমাত্র জনগণের মতামত শোনার জন্য, তাদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য নয়। এ সব শুধুমাত্র চলচ্চিত্রেই ভালো মানায়, বাস্তব জীবনে নয়।
এমপি এমন হতে হবে যেন জনসাধারণ তার সঙ্গে সহজে দেখা করতে পারে। আপনার সামনে তাঁরা যাতে নিজেদের সমস্যা তুলে ধরতে পারেন। তিনি মানুষের সমস্যাগুলোকে সঠিক প্লাটফর্মে পৌঁছে দিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ৭২ বছর বয়সী এসএস আলুওয়ালিয়া গত ৩২ বছর ধরে সাংসদ। তিনি ২০১৪ সালে দার্জিলিং থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। যেখানে তিনি, ১, ৯৭,২৩৯ ভোটে তৃণমূলের বাইচুং ভুটিয়াকে পরাজিত করেছিলেন। ২০১৯ সালে, দল তাঁকে বর্ধমান দুর্গাপুর থেকে টিকিট দেয়। সেখানে তিনি তৃণমূলের মমতাজ সংঘমিত্রাকে ২,৪৩৯ ভোটে হারিয়েছিলেন। এসএস আলুওয়ালিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে কংগ্রেসে ছিলেন। তিনি কংগ্রেসের টিকিটে দুবার লোকসভা নির্বাচনেও জিতেছেন।
শুধু তাই নয়, বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। আহলুওয়ালিয়া ১৯৯৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। গত ২৫ বছর ধরে তিনি বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। আসানসোল আসন থেকে বিজেপি এখন তাকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামাল। যা রাজ্য রাজনীতিকে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।




Be First to Comment