কুলটি : স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছিল কমিউনিটি হল। সেখানে চলে বেসরকারি সামাজিক সংগঠনের হেল্থ কেয়ার ইউনিট। সেই সংগঠনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে বুধবার ইউনিটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা।
বিক্ষোভ সামলাতে এলাকায় আসে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পরে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মতো পুলিশ কমিউনিটি হলের গেটে তালা লাগায়। যদিও সামাজিক সংগঠনের তরফে সম্পাদক সপ্তম পাঁজা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাল্টা তিনি বলেন, এদিন যখন হেল্থ কেয়ার ইউনিটটি চলছিল, তখন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা সেখানে ঢুকে ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। পুলিশের কাছে চাবি আছে।
জানা গেছে, আসানসোলের কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুরের লছিপুর জিটি রোডের পাশে আসানসোল পুরনিগমের তরফে এলাকার সামাজিক কাজের জন্য তৈরি করা হয় একটি কমিউনিটি হল। সেই হলটিতে বর্তমানে টাচ হেল্থ কেয়ার আছে।
আসানসোল সোশাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির “টাচ” র অন্যতম ইউনিট হল এই হেল্থ কেয়ার। যা, চালাতে সাহায্য করে আসানসোল পুরনিগম। বুধবার ওই এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা এই হেল্থ কেয়ারের বিরোধিতায় সরব হন। তারা সেখানে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মনিকা দেবী ও পূর্ণিমা সিং অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক সংগঠনটি এলাকার বাসিন্দাদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার নামে এই কমিউনিটি হলটি নিলেও সেরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেয়না। ঔষুধ বাইরের থেকে কিনতে হয়। এই সামাজিক সংগঠন ওই হলটি বাড়ি ঘরের মতো ব্যবহার করছে। সেই ঘরে জিনিসপত্র, খাট ও বিছানা সব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
তাদের দাবি, আমরা চাই কমিউনিটি হলটি রাজ্য সরকারের পক্ষে আসানসোল পুরনিগমের তরফে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যাতে তা এলাকার গরীব দুঃস্থ মানুষদের বাড়ির বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে কাজ লাগে। তাই কমিউনিটি হলটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
যদিও ওই সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় সেখানে গরীব দুস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। সেই মতো এদিনও খোলা হয়েছিল। রুগীও দেখা চলছিল। সেই সময় কিছু স্থানীয় কিছু মানুষ হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। কিছু ঔষুধ নষ্ট করে দেওয়া হয়। তারা জানায়, বাইরে থেকে চিকিৎসক আসেন। তাই স্থানীয় পুর কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা বলে, তার থাকার জন্য হলের একটি ঘর ব্যবহার করা হচ্ছে।
গোটা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। তারা এলাকার বাসিন্দাদের কমিউনিটি হলের গেটে তালা মারে। পুলিশ জানায়, সমস্যার সমাধানের জন্য পুর প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
Be First to Comment