উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: গঙ্গায় রুই, কাতলা, বাটা ও মৃগেল মাছের চারা পোনা ছেড়ে ৭৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হল ব্যারাকপুরে ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধীন কেন্দ্রীয় অন্তর্দেশীয় মৎস্য অনুসন্ধান সংস্থায়।
সোমবার এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ মিশনের অধীন আর কে এম ভি ই আর আই এর উপাধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণানন্দজি মহারাজ,সি এস আই আরের অধীন যাদবপুরের আই আই সি বি র নির্দেশক ড. ভিভা ট্যান্ডন,আই সি এ আর -সি এম এফ আর আই কোচির প্রাক্তন নির্দেশক ড: গোপালাকৃষ্ণান, কোলকাতা আটারির নির্দেশক ড. প্রদীপ দে, সুন্দরবনের কুলতলি মিলন তীর্থ সোসাইটির সম্পাদক লোকমান মোল্লা সহ আরো অনেকে।এদিন সুদীর্ঘ ৭৮ বছরের কাজ কর্মের খতিয়ান পেশ করেন প্রতিষ্ঠানের নিদেশক ড: বসন্ত কুমার দাস।
১৯৪৭ সালের ১৭ মার্চ এই প্রতিষ্ঠানের পথ চলা শুরু হয়।এখনো পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের তিনজন বিজ্ঞানী পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। মাছ চাষের ও খোলা জলে মাছের বিস্তারের উপর গবেষণালব্ধ প্রচুর প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও মাছ চাষিদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। ড: বিভা ট্যান্ডন সিফ্রির সারা ভারতবর্ষের খোলা জলে মাছ চাষের বৃদ্ধির জন্যে ভুয়সী প্রশংসা করেন।

লোকমান মোল্লা প্রত্যন্ত সুন্দরবনের প্রান্তিক ও দুর্গত মানুষের জীবন জীবিকার মানের উন্নতিতে সিফ্রি র কাজের ভুয়সী প্রশংসা করেন। বিগত ৭ বছর ধরে কুলতলি মিলন তীর্থ সোসাইটির সক্রিয় সহযোগিতায় সিফ্ররি যেভাবে সুন্দরবনের ঘূর্ণি ঝড় বিধ্বস্থ দুর্গত মানুষের পাশে থেকে তাঁদেরকে মাছ চাষের সামগ্রী দিয়ে ও হাতে কলমে চাষের খুঁটিনাটি শিখিয়ে তাঁদের অর্থনৈতিক মান উন্নয়নে সাহায্য করেছেন তা প্রশংসাযোগ্য।সিফ্রী সারা ভারতবর্ষের খোলা জলের মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজের ভুয়সী প্রশংসা করে ড: প্রদীপ দে বলেন, আজ বিশ্বে ভারতকে অন্তর্দেশীও খোলা জলে মাছ উৎপাদনে এক নম্বর স্থানে পৌঁছে দেবার জন্যে সিফ্রির বিজ্ঞানীরা যে নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্বামী পূর্ণানন্দাজি মহারাজ এদিন বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও আধ্যাত্মিক জীবন শৈলীকে একত্রিত করার জন্যে সিফ্রির বিজ্ঞানীদের আহবান করেন। মাছ চাষের মধ্যে দিয়ে জীব সেবাকে এগিয়ে নিতে যাবার জন্যে সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।
এদিন সকালে গঙ্গা পুজোন ও গঙ্গায় রুই, কাতলা, বাটা, ও মৃগেলের চারা পোনা ছেড়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন স্বামী পূর্ণানন্দাজি মহারাজ। শান্তির পায়রা উড়িয়ে সকলের শুভ কামনা করে স্বামীজি এই প্রতিষ্ঠানের সকলকে নিজেদের আরো বেশি বেশি করে মানব কল্যাণমুখী কাজে ব্যাপ্ত থাকার আহবান জানান।এদিনের এই অনুষ্ঠানে বহু গবেষক ও কৃষক উপস্থিত ছিলেন।




Be First to Comment