উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: কলকাতার পাশে জমকালো কালীপুজোর কথা বলতে গেলেই চলে আসে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও বারাসতের নাম। কারণ, নৈহাটির বড়মার পুজো ও বারাসতের কালীপুজোর অত্যন্ত জনপ্রিয়। থিমের অভিনবত্ব, ঝলমলে আলোক সজ্জায় যেন এক অন্য মাত্রা পায় এই সময় নৈহাটি ও বারাসত শহর। তবে এই উত্তরের বারাসতকে টেক্কা দিতে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই দক্ষিণ বারাসত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ বারাসত এলাকার বেশ কয়েকটি পুজো থিমের ছোঁয়াতে ফুটিয়ে তোলা হয় প্রতি বছর। তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ বারাসতের জোরাপুল যুব গোষ্ঠীর শ্যামাপুজো। তাদের এ বছর হীরক জয়ন্তী বর্ষে ভাবনা অরণ্য কন্যা। আর সেই পুজোরই বর্তমানে চলছে শেষ সময়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই এই পুজো এই এলাকার মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আর তাঁর মধ্যে অন্যতম জোরাপুল যুব গোষ্ঠী। এ বার তাই মানুষকে আনন্দ দিতে নিজেদের মণ্ডপে অরণ্য কন্য ফুটিয়ে তুলতে চলেছে
মণ্ডপ সজ্জায় সুদূর নবদ্বীপ থেকে আগত শিল্পীরা। মণ্ডপ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের হাতি পালকি, গাছ এবং তার মধ্যে রয়েছে এই অরণ্যকন্যা সেটাকে দর্শকদের মধ্যে তুলে ধরা হচ্ছে। মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই করে থাকছে প্রতিমা। তাছাড়া থাকছে চন্দননগরের বিশেষ ধরনের আলোকসজ্জা। টানা কয়েক মাস ধরেই চলছে এই চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
এ প্রসঙ্গে পুজো কমিটির সভাপতি তপন সাহা ও সম্পাদক রাজেশ সাহা বলেন, “প্রতি বছর কিছু না কিছু চমক থাকে। আমাদের পুজোতে প্রচুর মানুষ ভিড় করে আমাদের এই মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখার জন্য। আমরা আশা করছি গত বছরের তুলনায় এ বছর দর্শনার্থীদের মন কাড়বে আমাদের এই মণ্ডপ। তাই দক্ষিণ বারাসত ও বহড়ুর মর্ধবর্তী এই জোরাপুলে আসতে হবে আপনাকে এই অভিনব মণ্ডপের কাজ দেখতে।”
Be First to Comment