অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, মালদহ: বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ভেজে মালদহ। একইসঙ্গে বজ্রপাতে মৃত্যু ১১ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। মৃতদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
মৃতদের মধ্যে তিন নাবালক ও দুই যুবকও রয়েছেন। ঝড়বৃষ্টি দেখে আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় বজ্রপাতে তাঁদের মৃত্যু হয় বলে খবর স্থানীয় সূত্রে। মৃতেরা হলেন চন্দন সাহানি (৪০), রাজ মৃধা (১৬) ও মনোজিৎ মণ্ডল (২১)। গাজোলের আদিনাতে আমবাগানে বজ্রপাতে প্রাণ যায় একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহার (১৯)। ঝড়ের সময় আমবাগানে আম কুড়াতে গিয়েও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মানিকচকের মহম্মদটোলায় রানা শেখ নামে আট বছরের এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের কুন্দরিয়া গ্রামে মৃত্যু হয়েছে এক দম্পতির। তাঁরা হলেন নয়ন রায় (২৩) এবং তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা সিংহ (২০)।
আমবাগানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা হাড্ডাটোলার অতুল মণ্ডলের (৬৫) প্রাণ কাড়ে বজ্রপাত। সেখানেই বাজ পড়ে মৃত্যু হয় শেখ সাবরুলের (১১)। সে চৌকি মিরদাদপুর অঞ্চলের নিহালুটোলার আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিল। ইংরেজবাজারের মিল্কিতে পঙ্কজ মণ্ডল (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।

মৃতদের মধ্যে এক প্রৌঢ়াও রয়েছেন। ঝড়ের সময় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। জমিতে ধান কাটার সময় প্রাণ হারান বছর পঁয়তাল্লিশের বধূ সুমিত্রা মণ্ডল। পাশাপাশি, বজ্রপাতের ঘটনায় এক বধূ-সহ দু’জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র দুল্লু মণ্ডল পুরাতন মালদহের সাহাপুরের বাসিন্দা। জখম হয়েছেন ইংরেজবাজারের বুধিয়ার বাসিন্দা ফতেমা বিবির। আহতদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে খবর জেলা প্রশাসন সূত্রে।
মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া। তিনি বলেন, ‘‘বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তিদের দুর্যোগ তহবিল থেকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সমস্ত রকমের সাহায্য করা হচ্ছে। নির্বাচনী বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে সমস্ত রকমের সাহায্য করা হচ্ছে।’’



Be First to Comment