দুর্গাপুর : ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্গত ১৯ নং জাতীয় সড়কের ধারে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ২১- এর বিধানসভা নির্বাচনের পরে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পরপর দুবার বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। আর এবার ২৪ -এর লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ ।আবারও টার্গেট, দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিজেপির দলীয় কার্যালয়।
শুক্রবার রাতে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সেই আগুনে পুড়ে ছাড়খার হয় বিজেপির দলীয় কার্যালয়। এবারও অভিযোগের আঙুল সেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের দিকে।শনিবার সকালে এই খবর চাউর হতেই বিজেপির নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা ছুটে আসেন দলীয় কার্যালয়ে। ঘটনার প্রতিবাদে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। অভিযোগের আঙুল সেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ১৯ নং জাতীয় সড়কে প্রতিদিন রাতে পুলিশি টহল চলে। কিন্তু তারপরেও কেন দলীয় কার্যালয়ে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে। দিন কয়েক আগে, দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের অফিসে দুষ্কৃতি তান্ডবের ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতিরা বিধায়ক অফিসের কম্পিউটার প্রিন্টার নিয়ে পালিয়ে যায়। আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও বিজেপি বিধায়কের সরকারি প্যাড লুঠ করা হয়।

পাশাপাশি, বিজেপি বিধায়কের অফিসে তৃণমূলের ঝান্ডাও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই এবার সেই অফিসের অদূরে বিজেপির বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে দরজাও ভাঙার চেষ্টা করে দুষ্কৃতিরা। এবার আরও একটি বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটল সেই দুর্গাপুরেই। পরপর ঘটা এইসব ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
যদিও বিজেপি হেরে গিয়ে মিথ্যে অভিযোগ আনছে বলে পাল্টা তোপ পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। বলা যেতে পারে যে, এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানা এলাকায়।পুলিশ জানায়, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।



Be First to Comment