আসানসোল : ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানিতে দোষী সাব্যস্ত হল এক যুবক। ২ বছরেরও কম সময়ে (২১ মাস) আসানসোল আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ( সেকেন্ড কোর্টের) বিচারক মহুয়া রায় বসু সওয়াল-জবাব ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করেন ।
দোষী যুবক রাহুল রামের ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ায় নির্দেশ দেন বিচারক।
সেই জরিমানা অনাদায়ে ওই যুবককে অতিরিক্ত দুমাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বিচারক নির্দেশে বলেন, জরিমানার টাকা নির্যাতিতাকে দিতে হবে।

এই মামলার সরকারি আইনজীবী হিসেবে ছিলেন বিনয়ানন্দ চট্টোপাধ্যায়। এই মামলার আইও ছিলেন শেখ রেজাউল করিম। চিকিৎসক সহ মোট ৮ জন এই মামলায় সাক্ষ্য দান করেছেন বলে পিপি জানিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রাহুল রাম আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার কেজি লেনের ডালপট্টির বাসিন্দা।
জানা গেছে, এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল। সেদিন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে গেছিলেন রানিগঞ্জ থানার কেজি লেনের ডালপট্টির বাসিন্দা ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধা। সেই সময় তার পিছু নেয় এলাকারই বাসিন্দা রাহুল রাম। ওই বৃদ্ধা যখন পুকুরে ছিলেন, সেই সময় রাহুল রাম তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয়। বৃদ্ধা তখন চিৎকার শুরু করেন। তা শুনে আশপাশের লোকেরা দৌড়ে আসার আগেই ওই যুবক পালিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন।
সেদিনই ঘটনার কথা জানিয়ে রানিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় বৃদ্ধার পরিবারের তরফে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেদিনই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতর বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির বা আইপিসির ৩২৩, ৩৪১, ৩৫৪/এ, ৩৭৬ ও ৫১১ নং ধারায় মামলা ( কেস নং ১৫৩/২৩, তারিখ ৮.৪.২০২৩) করে।
শুক্রবার এই মামলার সরকারি আইনজীবী বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট ও অন্যান্য তথ্য-সহ পুলিশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ায় ধৃত যুবক জামিন পায়নি। সে জেলেই আছে। এদিন ফাস্ট ট্র্যাক ( সেকেন্ড কোর্ট) বিচারক মহুয়া রায় বসু যুববকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং সাজা ঘোষণা করেন। সেই হিসেবে এদিনের সাজা ঘোষণা কাস্টডি ট্রায়াল।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনা ও তারপরের বিচার নিয়ে যখন সারা বাংলা উত্তাল, সেই সময় আসানসোল আদালতের এদিনের সাজা ঘোষণা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আইনজীবীরা ।




Be First to Comment