দুর্গাপুর : চার বছর আগে স্বামীকে খুন করার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক শৈলেন্দ্র কুমার সিং।
বৃহস্পতিবার এই মামলায় একই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর দিদিরও যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। দুই সাজাপ্রাপ্তর নাম সফিয়া মির্ধা ( স্ত্রী) ও মনুয়ারা মির্ধা ( স্ত্রীর দিদি)।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী মহঃ ইমরান বলেন, এই মামলা চলাকালীন দূর্গাপুর আদালতে সবমিলিয়ে মোট ১৬ জন সাক্ষী দিয়েছেন। তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষীদের দেওয়া সাক্ষ্যর ভিত্তিতে বুধবার এই দু’জনকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।

এই ঘটনায় পুলিশ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে দুজন। বিচারক দুজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারায় ( খুন) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ায় নির্দেশ দেন। এই জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। ২০১ নং ধারায় ( প্রমাণ লোপাট) ৫ বছর কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ায় নির্দেশ দেন বিচারক। এই জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে দুজনকে।
সরকারি আইনজীবী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৯ মে দুর্গাপুর থানার রামানুজম এলাকায় জানে আলম মির্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় একটি আবাসনের পেছনে গাছ থেকে। জানে আলমের বাড়ি ছিল দুর্গাপুর থানার বিজড়া এলাকায়।
জানে আলমের পরিবারের তরফে স্ত্রী সফিয়া মির্ধা ও স্ত্রীর দিদি মনুয়ারা মির্ধার বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তদন্তের ভিত্তিতে পারিবারিক বিবাদের জেরে প্রথমে মারধর করে খুন ও পরে দেহ লোপাটের তথ্য উঠে আসে। খুন ও দেহ লোপাটের তথ্য প্রমান দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইওর তরফে।
সমস্ত দিক বিবেচনা করে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক শৈলেন্দ্র কুমার সিং সফিয়া মির্ধা ও মনোয়ারা মির্ধাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন । বৃহস্পতিবার বিচারক তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন।




Be First to Comment