অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, কুলটি : ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড় । কুলটি থানার মাজদিয়া পার্ক এলাকায় হওয়া এই ভিডিও নিয়ে শোরগোল পড়েছে গোটা এলাকায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবককে খুঁটিতে বেঁধে পেটাচ্ছে বেশ কয়েকজন যুবক। লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হচ্ছে। মারা হচ্ছে চড়ও ।
জানা গিয়েছে, মার খেয়ে আহত হওয়া যুবক কুলটি থানার কেন্দুয়া এলাকার রোহিত পাণ্ডের দাবি, গত ২৭ মে তিনি যখন দুর্গাপুর থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তখন আসানসোলের কুলটি থানার কেন্দুয়া এলাকায় তাঁর পথ আটকায় বেশ কয়েকজন যুবক। জোর করে তাঁকে মোটরবাইকে তুলে নিয়ে আসা হয় কুলটির ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাজদিয়া পার্ক এলাকায়। সেখানেই তাঁকে রাস্তার পাশে একটি খুঁটিতে বাঁধা হয়। তারপর বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয় ।
পরে সেই মারধরের পুরো ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। নিগৃহীত যুবক রোহিত পাণ্ডের আরও অভিযোগ, ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার নাদিম আখতার তাঁর অনুগামী পাঠিয়ে এমন কাজ করিয়েছেন। যদিও তিনি শুক্রবার কুলটি থানাতে যে অভিযোগ করেছেন, যার ভিত্তিতে এফআইআর হয়েছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলারের নাম উল্লেখ করেননি। সেই অভিযোগে অন্য পাঁচ জনের নাম ওই যুবক লিখেছেন।

রোহিত পাণ্ডে জানান, মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ সেই সময় না এলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। সেই মুহূর্তে কোনো মতে প্রাণে বেঁচে গেলেও দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ না নেওয়ার কথাও বলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার আমার পাশে দাঁড়ান। তাঁর চাপে পড়ে গত ১৪ জুন কুলটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীত রোহিত পাণ্ডে। এই ঘটনা নিয়ে কুলটি থানার পুলিশ জানায়, অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে ।
অন্য দিকে, ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার নাদিম আখতার তাঁর বিরুদ্ধে উঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি যতদূর খবর নিয়ে জেনেছি, ওই যুবক ওই এলাকায় গিয়ে গত ২৭ জুন রাতে এক কিশোরীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করছিল। তখন এলাকার বাসিন্দা কয়েকজন যুবক তাকে ধরে মারধর করছিল । পরে খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় আসে।”
কাউন্সিলারের দাবি, “বিজেপি ওই ওয়ার্ডে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে পিছিয়ে আছে। তাই ওই দলের নেতারা এইসব করাচ্ছে। যদি এই ঘটনায় আমি জড়িত থাকি, এবং তা যদি প্রমাণিত হয়, তবে পদত্যাগ করব”।
বিজেপি নেতা কেশব পোদ্দার দায় ঠেলেছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, “এটাই শাসক দলের কালচার। ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত”।
এ দিকে আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার কথা জানি না। খবর নিয়ে দেখছি”।



Be First to Comment