এ দিন এসডিও অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। নিজস্ব ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা, আসানসোল: সন্দেশখালি-সহ গোটা রাজ্যে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলে সোচ্চার হয়েছে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে সিটু, ইনটাক, এআইসিসিটিইউ-সহ বিভিন্ন সংগঠনের তরফে আসানসোলে মহকুমাশাসক বা এসডিও অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা যাতে এসডিও অফিস যেতে না পারেন, তারজন্য প্রায় ৫০০ মিটার আগে পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বসানো হয়েছিল ব্যারিকেড। মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনীও। আর এ দিনের এই আন্দোলন থেকে ১৪৪ ধারা রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে একহাত নিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
এ দিন সকালে আসানসোলের বিএনআর মোড়ে রবীন্দ্র ভবনে সামনে সন্দেশখালি-সহ রাজ্যের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে প্রতিবাদ জানিয়ে জমায়েত হন বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী ও সমর্থকেরা। এতে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছাড়াও সিপিএম নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী, সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়, তাপস কবি-সহ অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
নেতা ও কর্মীরা ঝান্ডা নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে বিএনআর মোড় থেকে এসডিও অফিস অভিযান শুরু করেন। বেশ কিছুটা যাওয়ার পরে এসডিও অফিসের ৫০০ মিটার দূরে ব্যারিকেডে পুলিশ তাদেরকে আটকে দেয়। পুলিশের তরফে বলা হয়, ১৪৪ ধারা আছে। তাদেরকে যেতে দেওয়া হবে না। তখন নেতারা বলেন, তাঁরা জোর করে ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকবেন। তখন পুলিশ জানায়, তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সেই মতো পুলিশ পার্থ মুখোপাধ্যায়, তাপস কবি -সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে অবশ্য ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আর এই ১৪৪ ধারা নিয়েই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে সিপিএমের রাজ্য নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষের জন্যই তো এই আইন। সরকার তা কতদিন জারি করে রাখবে? একদিন না একদিন মানুষ গর্জে উঠবেন। তখন পুলিশ ও সরকার কোনো কিছুই করতে পারবে না। তবে বলব কেউ আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না।”
সন্দেশখালির তৃণমুল কংগ্রেস নেতা উত্তম সরকার ও বিজেপি নেতা বিকাশ সিংকে আদালত থেকে জামিন পাওয়ার কয়েক মুহুর্তের মধ্যে আবার তাঁদেরকে গ্রেফতার করা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।
অন্য দিকে, বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, সন্দেশখালিতে পুলিশের সাহায্য তৃণমূলের নেতারা যে ভাবে মহিলাদের সম্মান নিয়ে খেলা করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, আসানসোল শিল্পাঞ্চলে মাফিয়া রাজ চলছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তরফে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, এ সব ঘটনার দায় রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদেরই নিতে হবে।
Be First to Comment