Press "Enter" to skip to content

রাজ্য সভাপতিকে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে বিজেপির আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার আসানসোলে, ভাঙল ব্যারিকেড

নিজস্ব সংবাদদাতা, আসানসোল: সন্দেশখালির ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদরত সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ উঠে। তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির ডাকে গোটা বাংলায় প্রতিটি জেলায় এসপি ও সিপি অফিস ঘেরাও এবং বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি ছিল। আসানসোলে এ দিনের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে এদিনের বিজেপির আন্দোলনের জন্য জিটি রোডের কুমারপুরে সিপি অফিস ও তার আশপাশের এলাকাকে নিরাপত্তার বেষ্টনী করে ঘিরে ফেলা হয়। মোতায়েন করা হয় কয়েক হাজার পুলিশ।

বিজেপির নেতা ও কর্মীদের আটকাতে সিপি অফিসের আগে পুলিশের তরফে বাঁশ বেঁধে ও লোহার গার্ডওয়াল দিয়ে ব্যরিকেড করা হয় । সিপি অফিসকে দূর্গের আকারে ঘিরে ফেলা হয়।

এ দিন দুপুর ৩টে নাগাদ আসানসোলের বিএনআর মোড় থেকে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। অন্যদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য দেবতনু ভট্টাচার্য, পবন সিং , দিলীপ দে, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, সাধারণ সম্পাদক তাপস রায়, অনিরুদ্ধ বাজপেয়ী, মহিলা মোর্চার সভাপতি রেখা ভট্টাচার্য, সহ সভাপতি কেশব পোদ্দার ও যুব সভাপতি বাবন মণ্ডল।

সিপি অফিসের বেশ কিছুটা আগে প্রথম ব্যরিকেড ভেঙে দেন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা। এরপর দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা। কিন্তু ব্যারিকেডের পেছনে পুলিশ কর্মীরা মানববন্ধন করেন। বিজেপির নেতা ও কর্মীরা বেশ কিছুক্ষন সেই ব্যারিকেড ভাঙ্গার জন্য টানাহেঁচড়া করেন। কিন্তু পুলিশের প্রতিরোধে তা সম্ভব হয়নি। চলে ধস্তাধস্তিও। সেখানে আটকে পড়ে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ আগে থেকেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জিটি রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ৪টের পরে জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলকে পুলিশের তরফে পুলিশ কমিশনার অফিসে স্মারক লিপি দেওয়ার অনুমতি দেয়। সেই প্রতিনিধি দল সিপি অফিসে গিয়ে পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরীর পরিবর্তে ডিসিপি (সদর) ধ্রুব দাসকে স্মারক দেয়।

পরে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সন্দেশখালিতে কি হয়েছে, আর এখন কি হচ্ছে, তা শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের মানুষেরা দেখছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। অথচ এই রাজ্যে মহিলাদের কোন নিরাপত্তা নেই। দলের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তার প্রতিবাদ করতে সেখানে গিয়েছিলেন । কিন্তু পুলিশ সুকান্তবাবুকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে । বাপ্পাবাবু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীদের তো বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েরা আছেন। তাঁরা কী ভাবছেন? আমাদের আহ্বান, আপনারা তো এবার প্রতিবাদে সরব হোন।”

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *