অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা: আসানসোলের কুলটি সেল কারখানার অধীন রামনগর কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের তরফে কুলটির রামনগর গ্রামে নোটিশ লাগানো হয়েছে। এই নোটিশকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা গ্রামে।
নোটিশে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। এই নোটিশটি না কোলিয়ারি, না সেল-এর, কোনও কোম্পানির লেটার প্যাডে না লিখে একটি সাদা কাগজে লিখে গোটা এলাকায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এই নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এলাকায় বিসিসিএলের সহযোগিতায় একটি প্রজেক্ট তৈরি করা হবে। তার জন্য সার্ভে করা হচ্ছে গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে। নোটিশে আরো বলা হয়েছে, গ্রামবাসীরা যেন এই সার্ভেতে সহযোগিতা করেন। তারা যেন, তাদের আধার কার্ড সহ অন্য ডকুমেন্ট দিয়ে সহযোগিতা করেন। এই নোটিশে রামনগর কোলিয়ারি ডিজিএম ( পার্সোনাল) লোভান টিকেদার সহ চারজনের সই করা আছে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, রামনগর কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা স্পষ্ট জানাতে চাইছেন না। তাদের আরো দাবি, কিসের নোটিশ, কিসের প্রজেক্ট এবং কোনখানে প্রজেক্ট করা হবে সে বিষয়েও কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে চাইছে না।
মঙ্গলবার সকালে রামনগর গ্রামের বাসিন্দারা রামনগর কোলিয়ারির ডিজিএমের ( পার্সোনাল) অফিসে যান। তার কাছ থেকে গ্রামবাসীরা জানতে চান, কিসের জন্য এই নোটিশ? কি করা হবে ?
তখন তাদের উদ্দেশ্যে ডিজিএম ( পার্সোনাল) বলেন, আমি ওই কমিটিতে নেই। আমাকে সই করতে বলা হয়েছে, তাই করেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে আমি বাধ্য নই বলে তিনি গ্রামবাসীদের সাফ জানিয়ে দেন। এই ঘটনায় কোলিয়ারিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই প্রসঙ্গে বিমান মন্ডল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, প্রথমে গত ৯ অক্টোবর এই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল । পরে ১৫ অক্টোবর আবার নোটিশ দেওয়া হয়। আমরা তখন এইসব নোটিশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। তারপর আবার ২১ অক্টোবর একটা নোটিশ দেওয়া হয়। তাতে ৯ অক্টোবরের তারিখে চারজন অফিসার সই করেছেন। তার মধ্যে এদিন আমরা ডিজিএমের ( পার্সোনাল) কাছে যাই। তিনি আমাদেরকে কোনকিছু বলতে অস্বীকার করেন। এই নোটিশে ধোঁয়াশার সাথে সাথে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে রামনগর কোলিয়ারি সংলগ্ন রামনগর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বলে বিমান মন্ডল এদিন বলেন।
তবে, এই নোটিশ নিয়ে রামনগর কোলিয়ারির কোনও আধিকারিক কোন মন্তব্য করতে চাননি।
Be First to Comment