জলপাইগুড়ি: গত মরসুমের তুলনায় এ বার সাড়া ভালো পর্যটকদের। এমনই দাবি জলপাইগুড়ির এনবিএসটিসি ডিপো কর্তৃপক্ষের। ‘সবুজের পথে হাতছানি’ তে শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার মানুষজন সাড়া দেওয়ায় খুশি ডিপো কর্তৃপক্ষ। তবে, কর্মী সঙ্কটের কারণে চাপ একটু বাড়ছে বলে দাবি। রবিবাসরীয় সকালে শহর থেকে ২৪ জন যাত্রী নিয়ে এনবিএসটিসি-র বাস ছুটল লাভার পথে।
সেপ্টেম্বরে পর্যটন মরসুম শুরু হতেই ফের ‘সবুজের পথে হাতছানি’ শুরু করেছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। গত বছরের তুলনায় এ বার শুধু শহর নয়, শহর সংলগ্ন এলাকার বহু মানুষ যোগাযোগ করছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। মোটামুটি কুড়ি জনের মতো পর্যটক হলেই নির্দিষ্ট পর্যটন স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে ডিপোর। সামান্য খরচেই ভ্রমণ, খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা।
তবে, এ দিনের লাভা ভ্রমণে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা ছিল না। জনপ্রতি ৯৫০ টাকা খরচের মধ্যেই ধরা রয়েছে টিফিন -সহ খাবারের খরচও। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পর্যটক বোঝাই বাস নিয়ে ডিপো থেকে লাটাগুড়ি, মালবাজার হয়ে লাভার পথে রওনা দেন বাস চালক মাধব চন্দ্র রায়। সন্ধ্যায় পর্যটকদের ফের ডিপোয় ফিরিয়ে আনে বাসটি। সচরাচর দু’দিন-এক রাতের প্যাকেজ ট্যুরেই বেশি আগ্রহ থাকে পর্যটকদের।
ডিপো কর্তৃপক্ষের দাবি, এ বারেও পর্যটকদের সঙ্গে আলোচনা করে একদিনের ট্যুরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটক তথা আইনজীবি সৌরভ ভট্টাচার্য স্ত্রী ও শিশু কন্যা কে নিয়ে এ দিন লাভা গেলেন। তিনি বলেন, ” ডিপোর সবুজের পথে হাতছানির কথা আগে থেকে জানতাম। তবে, যাওয়ার সুযোগ হয়নি। এই প্রথম এ ভাবে যাচ্ছি।” এক কেন্দ্রীয় দফতরের আধিকারিক দীপঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “সংবাদপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ডিপোয় এসে যোগাযোগ করি। কম খরচে এ ধরণের ভ্রমণে অনেকেই আকৃষ্ট হবেন।”
তবে, এই ডিপোয় কর্মী সঙ্কটের কারণে, পর্যটন সেলের জন্য আলাদা ভাবে কর্মীদের বেছে দায়িত্ব দেওয়া যায়নি। নিত্য দিনের ডিউটি সামলে কর্মীরা অতিরিক্ত ডিউটি করছেন বলে ডিপো সূত্রের খবর। ডিপো ইন-চার্জ দীপক রাহা বলেন, “চলতি মরশুমে, গত মাসের ২১ তারিখ থেকে সবুজের পথে হাতছানি প্রকল্পে পর্যটকদের নির্দিষ্ট পর্যটনস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটি তৃতীয় ট্যুর। আমরা চাইছি, আরও বেশি করে পর্যটক এই পরিষেবা গ্রহণ করুক। প্রচারও চালান হচ্ছে।”
Be First to Comment