রানিগঞ্জ : দুই চোরকে পাকড়াও করে পুলিশ, পরে তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করে দুটি চুরির কিনারা করতে সমর্থ হল রানিগঞ্জ থানার পুলিশ।
ধৃতরা হল বাদশা খান এবং অজিত পাসোয়ান। গত ১৪ নভেম্বর প্রথম চুরি হয় রানিগঞ্জ থানার গীর্জাপাড়ার দীপক সিংয়ের বাড়িতে। দীপকবাবুর বাড়িতে সেদিন সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত কেউ ছিলোন। সেই সুযোগে চোরেরা তার বাড়ি থেকে নগদ ৩৬ হাজার টাকা সহ প্রচুর পরিমাণে সোনা ও রুপোর গয়না চুরি করে।
একটি সোনার আংটির সূত্র ধরে চুরি যাওয়া দীপক সিংয়ের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সব সামগ্রী পুলিশ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছিল । এবার সেই চুরি যাওয়া সামগ্রীর মধ্যেই এক পুরনো রুপোর কয়েনের সূত্র ধরে রানিগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বিকাশ দত্তর নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ দল দ্বিতীয় দফায় গীর্জা পাড়ার রহমত নগর এলাকার একটি বাড়ির চুরির কিনারা করল।
গত ১৭ নভেম্বর প্রভাস চন্দ্র পালের বাড়িতে বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে চুরির ঘটনা ঘটে । পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, রুপোর কয়েন চোরের দল চুরি করে নিয়ে গেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ধৃত বাদশা খান এবং অজিত পাসোয়ানকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চুরির ঘটনার কিনারা করতে সক্ষম হল পুলিশ। দুটি চুরির ঘটনায় বিপুল পরিমাণ সোনা ও রুপোর গয়না, মূল্যবান ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার উদ্ধার হওয়া চোরাই সামগ্রীর সঙ্গে ধৃত দুই চোর রানিগঞ্জ থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে দুটি চুরির ঘটনা সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস। সঙ্গে উপস্থিত হন এসিপি সেন্ট্রাল (২) বিমান মৃধা, রানিগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বিকাশ দত্ত।
জানা গেছে, রানিগঞ্জের বল্লভপুরের বাসিন্দা ধৃত বাদশা খান এর আগে মোটরবাইক চুরির মাস্টারমাইন্ড ছিল। রানিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ১৪ টিরও বেশি বাইক সে চুরি করেছিল। তবে দীর্ঘদিন সেই এলাকা ছাড়া থাকলেও আবারও সে এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটায়। সেইসব ঘটনার পরই রানিগঞ্জ থানার পুলিশ তৎপর হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই রানিগঞ্জ থানা তৎপর হয়ে দুটি চুরির ঘটনার পরপর কিনারা করতে সমর্থ হলো বলে ডিসিপি (সেন্ট্রাল) এদিন জানান ।
Be First to Comment