প্রবোধ দাস: পুরুলিয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী তেলকুপির বহু জাগ্রত মা নীলকণ্ঠবাসিনীর পুজো শুরু হল আজ, মঙ্গলবার থেকে।পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর-২ ব্লকের বড়রা অঞ্চলের প্রত্যন্ত পাথরবাড়ি গ্রামের দামোদর নদীর তীরবর্তী স্থানে গাছের তলায় অনুষ্ঠিত হওয়া মা নীলকণ্ঠবাসিনীর যে পুজো দেখতে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপচে পড়ল মানুষজনের ভিড়।
এলাকার ১৬০ জন কুমারী মেয়ের পুণ্য কলস যাত্রার মধ্য দিয়ে এ দিন পুজোর প্রথম দিনে মা নীলকণ্ঠবাসিনীর মূর্তির পাশেই থাকা বাবা ভৈরবনাথের পুজোতে মেতে উঠেন মহিলারা। তারপরেই বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মা নীলকণ্ঠবাসিনীর পুজো। একাধিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যে পুজো চলবে দুদিন ব্যাপী অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত। মায়ের পুজোকে ঘিরে একদিকে যেমন পাথরবাড়ি গ্রামে মেলা বসেছে তেমনি অন্যদিকে মেলায় আসা সমস্ত মানুষজনের জন্য নরনারায়ণ সেবারও আয়োজন করা হয়েছে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে।
জানা যায়, পাথরবাড়ি গ্রামে আজ থেকে দীর্ঘ প্রায় কয়েক শতক বছর আগে মাতঙ্গিনী রূপে চতুর্ভুজা মা নীলকণ্ঠবাসিনীর পাতাল থেকে উঠেন। ২০১৪ সাল থেকে পাথরবাড়ি গ্রামের মানুষজনেরা পাতাল থেকে ওঠা মা নীলকণ্ঠবাসিনীর পুজো আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করেন গ্রামে। সেই থেকেই প্রতিবছর ৫ চৈত্র, আজকের দিনে তেলকুপি বাস্তুহারা কমিটির উদ্যোগে জাঁকজমক ভাবে গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মা নীলকণ্ঠবাসিনীর পুজো।পাশাপাশি পাথরবাড়ি গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পাথরের খোদায় করা বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি।পাতালফোঁড় মা নীলকণ্ঠবাসিনীর সঙ্গে পূজিত হয় সেই সমস্ত দেব-দেবীর মূর্তিও।
পুরুলিয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী তেলকুপির বহু জাগ্রত মা নীলকণ্ঠবাসিনীর এই পুজো বর্তমানে অনুষ্ঠিত করা
বাস্তুহারা কমিটির সদস্যরা জানান, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে গ্রামবাসী ও স্থানীয় প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতায় মা নীলকণ্ঠবাসিনীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে পাথরবাড়ি গ্রামে।কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনো রকম সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। আগামীদিনে সরকারি কোনো রকম সহযোগিতা পেলে এই মেলাকে আরও বড় আকারে করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে। পাশাপাশি রাস্তারও বেহাল অবস্থা রয়েছে। সেই বিষয়েও এদিন পুজো কমিটির সদস্যরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আবেদন জানান।
Be First to Comment